রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে মন্ত্রণালয়ের ২ কমিটি
বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য নানা কারণে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করা হয়রানিমূলক মামলাসমূহ প্রত্যাহার করার জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে সরকার জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করেছে।রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক পরিপত্র মোতাবেক এ দুটি কমিটি গঠন করা হয়।জেলা পর্যায়ের কমিটিতে যারা থাকবেনজেলা পর্যায়ের কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার ও পাবলিক প্রসিকিউটরকে কমিটির সদস্য এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সদস্য সচিব হিসেবে কমিটিতে থাকবেন।জেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে(১) রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট-এর নিকট আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।(২) আবেদনের সাথে এজাহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিটের সার্টিফাইড কপি দাখিল করতে হবে।(৩) আবেদন প্রাপ্তির ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দরখাস্তটি জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (ক্ষেত্র বিশেষে মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটর) এর নিকট মতামতের জন্য প্রেরণ করবেন।(৪) আবেদন প্রাপ্তির ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর (ক্ষেত্র বিশেষে মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটর) তাঁর মতামত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর প্রেরণ করবেন।(৫) পাবলিক প্রসিকিউটর এর মতামত সংগ্রহপূর্বক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা কমিটির সভায় উপস্থাপন করবেন।(৬) জেলা কমিটির নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, মামলাটি রাজনৈতিক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য দায়ের করা হয়েছে, তাহলে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য কমিটি সরকারের নিকট সুপারিশ করবে।(৬) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত সুপারিশ, মামলার এজাহার, চার্জশিট-সহ আবেদন প্রাপ্তির ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্দিষ্ট "ছক" অনুযায়ী তথ্যাদি-সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে।মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটিতে যারা থাকবেনমন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। সদস্য হিসেবে কমিটিতে থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব (আইন) এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি। এছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব/সহকারী সচিব।মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে(১) জেলা কমিটির নিকট থেকে সুপারিশ প্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি সুপারিশগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং প্রত্যাহারযোগ্য মামলা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করবে ও মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রম গ্রহণ করবে।(২) দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর আওতাধীন মামলাসমূহের মধ্যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো দ্য ক্রিমিনাল ল একাডেমিক অ্যাক্ট, ১৯৫৮-এর ১০ (৪) ধারার বিধানমতে কমিশনের লিখিত আদেশ ব্যতীত প্রত্যাহার করা যায় না। এ কারণে এ ধরনের মামলা চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে হবে। এ ধরনের মামলার বিষয়ে করণীয় পরবর্তীতে নির্ধারণ করা হবে।এবি
যে কারণে ভারতে ইলিশ যাচ্ছে, জানালেন উপদেষ্টা
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতের বিশেষ অনুরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। রবিবার সচিবালায়ে তিনি এসব কথা বলেন। মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ইলিশ রফতানির বিপক্ষে জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, আমরা দেশের মানুষের জন্য ইলিশ রাখার পক্ষে এবং রফতানির বিপক্ষে। দেশে অনেক ইলিশ আছে। গতবারও ভারত কম ইলিশ নিয়েছে। হুট করে ইলিশের দাম বেড়ে যাবে এটাও ঠিক না। রপ্তানির খবরে দাম বাড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে এটা (রপ্তানির অনুমোদন) দিয়েছেন। তারা একটা অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দিয়েছেন। দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতের বিশেষ অনুরোধ ছিল। সে অনুযায়ী তারা করেছেন।রপ্তানি বন্ধ করা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার কাজ নয় জানিয়ে তিনি বলেন, আমি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত না। এছাড়া ইলিশ মাছ পূজার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের থেকে বিষয়টি জানা হয়েছে।তিনি আরও জানান, ইলিশের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকবে। নদীতে চর ড্রেজিং না হওয়া এবং দূষণের কারণে সাগর থেকে নদীতে মা ইলিশ ডিম ছাড়তে আসতে পারছে না। তাই ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এবি
জাতীয়
সব দেখুন
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হলেন আফরোফা ইমদাদ
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব পদে নিয়োগ পেয়েছেন বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারের ৩৫তম ব্যাচের সদস্য আফরোফা ইমদাদ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) তথ্য অধিদপ্তরের এই সিনিয়র তথ্য অফিসারকে (গ্রেড-৬) প্রেষণে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা যতদিন এ পদ অলংকৃত করবেন অথবা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) এ নিয়োগ কার্যকর থাকবে।তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আফরোফা ইমদাদ।এইচএ
বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিনকে অপসারণ
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিনকে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিনকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।এর আগে, গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) খতিব জটিলতায় অনেকটা থমথমে পরিস্থিতিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ আদায় করতে হয় মুসল্লিদের। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর পলাতক থাকা বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিন ফিরে আসার ঘটনায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়।এইচএ
‘সরকারি কর্মকর্তাদের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে হবে’
সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে হবে। তবে আগামী বছর থেকে প্রতি বছরের সম্পদের হিসাব ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দিতে হবে।রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সরকারি কর্মচারীদের সম্পত্তির হিসাব জমাদান নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান এ তথ্য জানান।পরে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়-সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ (৩০/১২/২০০২ তারিখের সংশোধনীসহ)-এর বিধি-১৩ অনুযায়ী সব সরকারি কর্মচারীর জন্য সম্পদ-বিবরণী দাখিল করা আবশ্যক। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ এ লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ-বিবরণী দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়।সম্পদ-বিবরণী দাখিলের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত নিয়মাবলি অনুসরণীয়-১। সম্পদ-বিবরণী প্রদানের সময়সীমা: সব সরকারি কর্মচারীকে প্রতি অর্থবছরের সম্পদ-বিবরণী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে হবে। কেবল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ক্ষেত্রে সম্পদ-বিবরণী ৩০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে দাখিল করতে হবে।২। যে কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে: ক. ক্যাডার/নন-ক্যাডার (নবম বা তদূধী গ্রেড) কর্মকর্তা তাঁর নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনিক। মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবের নিকট সম্পদ-বিবরণী দাখিল করবেন।গেজেটেড/নন-গেজেটেড কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ (১০ম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেড) নিজ নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের নিকট তাঁদের সম্পদ-বিবরণী দাখিল করবেন।৩। জমা প্রদান প্রক্রিয়া: ক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত নির্ধারিত ছকে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে হবে। ছকটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে।খ.সম্পদ-বিবরণীটি সিলগালাকৃত খামে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিতে হবে।৪। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা কোনো ভুল তথ্য প্রদান কিংবা তথ্য গোপন করা হলে বা সম্পদের কোনোরূপ অসংগতি পরিলক্ষিত হলে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।৫। প্রযোজ্যতা: এই অনুশাসনমালা সব সরকারি কর্মচারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।৬। গোপনীয়তা সংরক্ষণ: ক. বিজ্ঞ আদালতের আদেশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত সম্পদ-বিবরণীর তথ্য সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ হস্তান্তরযোগ্য নয়।সম্পদ-বিবরণী অতি গোপনীয় দলিল বিধায় এক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ প্রযোজ্য হবে না।এমএইচ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান।এ সময় তিনি দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা পরিস্থিতি বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে অবহিত করেন। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা।এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওয়াকার-উজ-জামান। ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালান শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অন্যান্য বাহিনীর সাথে কাজ করছে সেনাবাহিনীও। এরই মধ্যে সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে দেশের শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।এইচএ
৪ ডিআইজিসহ ১০ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে নতুন কমিশনার, রংপুর রেঞ্জ নতুন ডিআইজি, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম ও নোয়াখালী জেলায় নতুন পুলিশ সুপার পদায়ন করা হয়েছে।রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-১ শাখা সিনিয়র সহকারী সচিব হাবিবুল হাসান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে চার ডিআইজি ও ছয় পুলিশ সুপার পদে রদবদল করা হয়। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের বদলি করা কর্মকর্তারা হলেন- ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার ও সুপার নিউমারারি ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত আমিনুল ইসলাম রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে বদলি করা হয়েছে। এর আগে তিনি বরিশাল মহানগর পুলিশের কমিশনার হিসেবে আবশপ্রাপ্ত ছিলেন।পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) পুলিশ সুপার ও সুপারনিউমারারি ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত এস এন মো. নজরুল ইসলামকে অপরাধ তদন্ত বিভাগে, নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) এস এম রোকন উদ্দিনকে পুলিশ স্টাফ কলেজে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের উপপুলিশ মহাপরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলামকে বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে, নীলফামারী ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) আব্দুল্লাহ আল ফারুককে নোয়াখালী পুলিশ সুপার হিসেবে বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামকে ঠাকুরগাঁওয়ে এসপি হিসেবে, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের কুড়িগ্রামের এসপি হিসেবে বদলির আদেশ বাতিল করা হয়েছে। সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানকে, ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠককে ট্যুরিস্ট পুলিশে এবং নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে নীলফামারী ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট হিসেবে বদলি করা হয়েছে।এইচএ
রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে মন্ত্রণালয়ের ২ কমিটি
বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য নানা কারণে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করা হয়রানিমূলক মামলাসমূহ প্রত্যাহার করার জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে সরকার জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করেছে।রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক পরিপত্র মোতাবেক এ দুটি কমিটি গঠন করা হয়।জেলা পর্যায়ের কমিটিতে যারা থাকবেনজেলা পর্যায়ের কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার ও পাবলিক প্রসিকিউটরকে কমিটির সদস্য এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সদস্য সচিব হিসেবে কমিটিতে থাকবেন।জেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে(১) রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট-এর নিকট আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।(২) আবেদনের সাথে এজাহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিটের সার্টিফাইড কপি দাখিল করতে হবে।(৩) আবেদন প্রাপ্তির ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দরখাস্তটি জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (ক্ষেত্র বিশেষে মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটর) এর নিকট মতামতের জন্য প্রেরণ করবেন।(৪) আবেদন প্রাপ্তির ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর (ক্ষেত্র বিশেষে মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটর) তাঁর মতামত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর প্রেরণ করবেন।(৫) পাবলিক প্রসিকিউটর এর মতামত সংগ্রহপূর্বক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা কমিটির সভায় উপস্থাপন করবেন।(৬) জেলা কমিটির নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, মামলাটি রাজনৈতিক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য দায়ের করা হয়েছে, তাহলে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য কমিটি সরকারের নিকট সুপারিশ করবে।(৬) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত সুপারিশ, মামলার এজাহার, চার্জশিট-সহ আবেদন প্রাপ্তির ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্দিষ্ট "ছক" অনুযায়ী তথ্যাদি-সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে।মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটিতে যারা থাকবেনমন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। সদস্য হিসেবে কমিটিতে থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব (আইন) এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি। এছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব/সহকারী সচিব।মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে(১) জেলা কমিটির নিকট থেকে সুপারিশ প্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি সুপারিশগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং প্রত্যাহারযোগ্য মামলা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করবে ও মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রম গ্রহণ করবে।(২) দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর আওতাধীন মামলাসমূহের মধ্যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো দ্য ক্রিমিনাল ল একাডেমিক অ্যাক্ট, ১৯৫৮-এর ১০ (৪) ধারার বিধানমতে কমিশনের লিখিত আদেশ ব্যতীত প্রত্যাহার করা যায় না। এ কারণে এ ধরনের মামলা চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে হবে। এ ধরনের মামলার বিষয়ে করণীয় পরবর্তীতে নির্ধারণ করা হবে।এবি
হেল্প ডেস্কে আরও সহজ হচ্ছে এনআইডি সেবা
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবায় বিভিন্ন অন্তোষ ও ভোগান্তি কমাতে আরও সহজ করতে মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়গুলোতে হেল্প ডেস্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় সংস্থাটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।সারাদেশের নির্বাচন অফিসগুলোতে এনআইডি সেবা সংক্রান্ত হেল্প ডেস্ক বসানোর নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আজিম।ইসি কর্মকর্তারা জানান, ওই সভায় ইসি সচিব শফিউল আজিম কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে হেল্প ডেস্ক বসানো ছাড়াও বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে জারিকৃত পরিপত্রের বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটারদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করা, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবাকে সহজকরণের মাধ্যমে হয়রানি ও দালালমুক্ত করা, সেবা গ্রহীতার সঙ্গে সর্বোত্তম আচরণ ও সেবা সহজিকরণ করে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রতি জোর দিয়েছেন তিনি।সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে সম্প্রতি এক লিখিত আদেশ দিয়েছেন ইসি সচিব। এতে বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহে হেল্প ডেস্ক অ্যাকটিভ করে সেবাগ্রহীতাদের সেবা প্রদান করতে হবে।কোন সেবার জন্য কোন ফরম কিভাবে পূরণ করতে হয়, কী তথ্য ও কাগজপত্র জমা দিতে হয় ইত্যাদি তথ্য অনেকেই না জানার কারণে দালালদের খপ্পরে পড়েন সেবাগ্রহীতারা৷ তা থেকে মুক্তি দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।এইচএ
আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা দিতে ঢাকায় চীনের মেডিকেল টিম
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সময় যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের উন্নত চিকিৎসা দিতে ঢাকায় এসেছে চীনের একটি জাতীয় জরুরি মেডিকেল টিম। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) চীনের কুনমিং হয়ে ঢাকায় এসেছে ওই মেডিকেল টিম। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মেডিকেল টিমকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. শেখ ছাইদুল হক।রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের সময় অনেক বেসামরিক লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যাপকভাবে কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদার হিসেবে চীনা সরকার নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। চীনা জনগণও বাংলাদেশি জনগণের কষ্টের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেছে। এই বিষয়ে ঢাকায় চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে বেইজিং এ দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।উল্লেখ্য, চীনা চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা সবাই পশ্চিম চীন হাসপাতালের। এটা চীনের অন্যতম সেরা হাসপাতাল। এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন ডং কুইআন।এবি
সর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুন
দেশের বেকার সমস্যার সমাধান করা হবে : তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ প্রচুর সম্ভাবনার দেশ, এখানে লুকিয়ে আছে অফুরন্ত সম্পদ, সেই সম্পদ কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকার সমস্যার সমাধান করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র গণ-আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে আয়েজিত সভায় ভার্চুয়ালে মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান আরো বলেন, কোনো অবস্থাতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র গণ-আন্দোলনে বীর শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না, মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার নিশ্চিত ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের পাশে থাকতে হবে।যাতে জনগণ আমাদের প্রতি আস্থা রাখতে পারে। কোনো অবস্থায় আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না, কেউ আইন হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।জেলার বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলা এবং এনায়েতপুর থানা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক আমিরুল ইসলাম খান আলীম সভাপতিত্ব করেন।স্মরণসভায় ভার্চুয়ালে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু ও প্রধান উপদেষ্টা ড. এম এ মুহিত প্রমুখ।এফএস
দেশের বেকার সমস্যার সমাধান করা হবে : তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ প্রচুর সম্ভাবনার দেশ, এখানে লুকিয়ে আছে অফুরন্ত সম্পদ, সেই সম্পদ কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকার সমস্যার সমাধান করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র গণ-আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে আয়েজিত সভায় ভার্চুয়ালে মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান আরো বলেন, কোনো অবস্থাতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র গণ-আন্দোলনে বীর শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না, মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার নিশ্চিত ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের পাশে থাকতে হবে।যাতে জনগণ আমাদের প্রতি আস্থা রাখতে পারে। কোনো অবস্থায় আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না, কেউ আইন হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।জেলার বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলা এবং এনায়েতপুর থানা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক আমিরুল ইসলাম খান আলীম সভাপতিত্ব করেন।স্মরণসভায় ভার্চুয়ালে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু ও প্রধান উপদেষ্টা ড. এম এ মুহিত প্রমুখ।এফএস
রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সংবিধান সংস্কার হতে পারে: জোনায়েদ সাকি
রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সংবিধান সংস্কার হতে পারে। তবে ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার না করা গেলে আবারও ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে আয়োজিত শাসনব্যবস্থা সংস্কার সংলাপে একথা বলেন তিনি।সাকি বলেন, ফ্যাসিস্ট শক্তি এবং তাদের দোসররা এখনও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিক্রিয়াশীল। এমন কিছু আইন করা দরকার, যাতে করে দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র চর্চার চাপ সৃষ্টি হয়। ৭২-এর সংবিধানে ফ্যাসিবাদকে রক্ষা করার নানা উপকরণ ছিল বলে মত দেন অনেকেই।সংবিধান সংস্কারে আলাদা কমিশন গঠনেরও প্রস্তাব আসে সংলাপ থেকে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অর্থনীতি বিভাগের শাসনব্যবস্থা ও জননীতি বিষয়ক গবেষণা দল সংস্কারের নানা প্রস্তাব তুলে ধরে।এসএফ
গণঅভ্যুত্থানকে পূর্ণ করতে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল দরকার: ফরহাদ মজহার
গণঅভ্যুত্থানকে পূর্ণ করার জন্য অবশ্যই তরুণদের একটা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার প্রয়োজন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন কবি, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘এটাই দাঁড়াবে, আমরা চাই বা না চাই।’‘বাংলাদেশের ছাত্র বিপ্লব: ২০০৭-২৪: শিক্ষাব্যবস্থা ও রাষ্ট্র সংস্কার করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ মজহার এ কথাগুলো বলেন। শনিবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস।ফরহাদ মজহার বলেন, তরুণদের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের প্রত্যাশা বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলো মেটাতে না পারলে নতুন রাজনৈতিক দল প্রয়োজন। তরুণদের অধিকার আছে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার।তরুণদের উদ্দেশে ফরহাদ মজহার বলেন, একবার দল করব, একবার করব না- এই বিভ্রান্তিতে ভোগা ভুল। যদি দল করতে চান, অবশ্যই দল করবেন। কেন দল করবেন, সেটা সঠিকভাবে জনগণকে বোঝাতে হবে।নির্বাচন দেশের জন্য কোনো সমাধান নয় বলেও মনে করেন ফরহাদ মজহার। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সিস্টেমকে রেখে এখানে-ওখানে দু-একটা সংস্কার করে আবারও আওয়ামী লীগের মতো ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছেন। এটা কিন্তু তরুণেরা গ্রহণ করবেন না।পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করা খুব সহজ মন্তব্য করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘ভারত নানাভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর মধ্যে বাইরের উসকানি আছে। বাইরের উসকানিকে আমরা আগুনের মধ্যে তেল দিচ্ছি।’অন্তর্বর্তী সরকার শুরুতেই সব শ্রেণি-পেশা ও গোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গে আলাপ করলে পার্বত্য চট্টগ্রাম, আনসার বিদ্রোহ ও শ্রমিক বিদ্রোহের মতো ঘটনাগুলো ঘটত না বলেও মনে করেন ফরহাদ মজহার।নো ভ্যাট অন এডুকেশনের মুখপাত্র ফারুক আহমাদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন প্রমুখ।এসএফ
‘বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থাই সরকারকে দানবে পরিণত করে’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থাই সরকারকে দানবে পরিণত করে। বাংলাদেশের সংবিধানে সরকার প্রধানকে অপরিসীম ক্ষমতা দেয়। এতে ভালো নির্বাচনে জয়ী হয়ে জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দলও ক্ষমতা অপব্যবহার করে দানবে পরিণত হয়ে যায়।’তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, ভালো নির্বাচনের আগে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে।তবেই ভালো নির্বাচনের পর ভালো সরকার পাওয়া যাবে। আমরা চাই, দেশের মালিকানা যেন সাধারণ মানুষের হাতে থাকে। সাধারণ মানুষ যেন ইচ্ছা অনুযায়ী তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। সরকারের জবাবদিহিতা থাকবে সাধারণ মানুষের কাছে। সরকার যদি জনগণের ইচ্ছার বাইরে দেশ পরিচালনা করে, তাহলে পরবর্তী নির্বাচনে যেন সাধারণ জনগণই আবারও ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সরকার পরিবর্তন করতে পারে।’শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশন নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জিএম কাদের এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সব সময় জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী রাজনীতি করেছে।জনগণের পক্ষে থেকেই রাজনীতি করেছে জাতীয় পার্টি।’এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন জাতীয় পার্টি বর্জন করেছিল। তখন আওয়ামী লীগ সরকার পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে চিকিৎসার নামে আটক করে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্দেশে আমি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেই। তখন আমার নেতৃত্বে প্রায় ২৭০ জন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। আমি নিজেও ২০১৪ সালের নির্বাচন করিনি, সংসদে যাইনি। মঞ্জুর হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন চাপ দিয়ে আমাদের নেতাকে নিজস্ব রাজনীতি করতে বাধা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি না গেলেও উপজেলা নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের অনেক নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। আবার ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। বিএনপির সংসদ সদস্যরা প্রায় চার বছর সংসদে থেকে তাদের মতামত প্রকাশ করেছে। কিন্তু ২০২৪ সালের নির্বাচনে আমরা যেতে চাইনি। সবাই জানে আমাদের নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। জাতীয় পার্টিকে দুটি ভাগ করে রেখেছিল সরকার। একটি ঠুনকো মামলার আদেশে প্রায় চার মাস আমাকে দল পরিচালনা থেকে বিরত রেখেছে। আমাদের দলের পরিচয়ে সরকার আরেকটি গ্রুপকে কাউন্সিল করতে দিয়েছিল। আমাদের রাজনীতি ও দল পরিচালনায় অনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করেছিল আওয়ামী লীগ।’জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. ফরিদ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচিব বীর মুত্তিযোদ্ধা মো. মুজিবুল হক চুন্নু, অ্যাডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট ড. নুরুল আজহার শামীম, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাষানী, অ্যাডভোকেট ইউসুফ আজগর, অ্যাডভোকেট আব্দুর রশীদ, অ্যাডভোকেট জিন্নাত আলী, অ্যাডভোকেট আবুল হাসনাত মাসুম, অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম মোল্লা, অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট মো. মেহেদী হাসান ও অ্যাডভোকেট আবু ওহাব।এসএফ
প্রকাশ্যে ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি, ছাত্ররাজনীতি নিয়ে যা বললেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের পর সম্প্রতি ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। ছাত্ররাজনীতি নিয়ে এমন সিদ্ধান্তের পর বিভিন্ন মহল থেকে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। এমন সময় প্রকাশ্যে এলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি।এক ফেসবুকে পোস্টে তিনি ছাত্ররাজনীতি নিয়ে মত প্রকাশ করেছেন। ওই পোস্টে তিনি নিজেকে ছাত্রশিবিরের সভাপতি হিসেবে দাবি করেছেন। তার নাম সাদিক কায়েম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তিনি।কায়েমের ওই পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:‘ফ্যাসিস্ট শোষণ শুধু ছাত্ররাজনীতি নয়, রাজনীতির সংজ্ঞাই পালটে দিয়েছে। ফ্যাসিবাদে কোনো রাজনীতি থাকে না। বিরাজনীতি ফ্যাসিবাদের ভাষা। ফ্যাসিবাদ ছাড়া সকল বাদ, ইজম ও রাজনীতি ফ্যাসিবাদে অনুপস্থিত থাকে। ফ্যাসিবাদে কোনো রাজনীতি নাই, শুধু ফ্যাসিবাদই আছে। টেন্ডারবাজি, গুম, খুন, ক্রসফায়ার, ফাঁসি, ধর্ষণ, রাহাজানি, দুর্নীতি এসব রাজনীতি না। এগুলো ফ্যাসিবাদ।আওয়ামী ফ্যাসিবাদের গত ১৬ বছরের ভয়ঙ্কর দিনগুলো কিংবা তারও পূর্বের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো রাজনীতির প্রতি তীব্র ঘৃণা সৃষ্টি করেছিল তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। কিন্তু চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সব ভুল ভেঙে দিয়েছে। রাজনীতি সম্পর্কে তৈরি হয়েছে নতুন সচেতনতা। দেয়ালে দেয়ালে লেখা হচ্ছে, “এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’’।আমরা জানি এই স্বাধীনতার জন্য শহিদ হয়েছে রাজনৈতিক দল সংশ্লিষ্ট এবং দলের আওতামুক্ত রাজনীতি সচেতন ছাত্র-জনতা। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানোর চেয়ে বড় রাজনীতি আর কোনো রাজনীতিই না। আমরা চাই সেই রাজনীতির আদর্শে ছাত্ররাজনীতির ব্যাপক ইতিবাচক সংস্কার হবে। ভবিষ্যতের ছাত্ররাজনীতিতে মত-দ্বিমত হবে, যুক্তির পাথরে সবাই বিক্ষিপ্ত হবে, কিন্তু কোন হকিস্টিক কিংবা স্ট্যাম্প থাকবে না। কোনো গেস্টরুম, গণরুম থাকবে না। চব্বিশের আকাঙ্ক্ষাকে বুকে নিয়ে এগিয়ে যাবে এই ছাত্ররাজনীতি। মধুতে ভিন্নমতের কেউ চা খেলে অপর পক্ষের কেউ তেড়ে আসবে না। একাডেমিক পরিবেশে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে ছাত্রসংসদ ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি। গণতান্ত্রিক দেশে ভিন্নমতের প্রতি থাকবে সম্মান কিন্তু কেউ যেন স্বৈরাচারী না হয়ে উঠতে পারে সে ব্যাপারে রাখতে হবে সজাগ ও পূর্ণ দৃষ্টি। এই রাজনৈতিক সংস্কারে অবশ্যই চব্বিশের শহিদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকতে হবে, তা না হলে ভেস্তে যাবে আমাদের এই স্বাধীনতা। আমরা চাই ছাত্ররাজনীতির সংস্কার গবেষণা, পলিসি ডায়ালগের মধ্য দিয়ে তা বাস্তবায়িত হোক। এ লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।এসএফ
‘বাসায় ফিরলেও এখনো সুস্থ নন খালেদা জিয়া’
বাসায় ফিরলেও খুব একটা সুস্থ নন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল (শুক্রবার) উনার ট্যাম্পারেচার ছিল। তবে বিদেশ নেওয়ার জন্য এখনো ফিট টু ফ্লাইং মনে করা হচ্ছে না বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া খুব সুস্থ না। উনাকে ডাক্তাররা এখন পর্যন্ত ফিট টু ফ্লাইং …এটা মনে করছেন না। সেজন্য বিদেশে যেতে উনার বিলম্ব হচ্ছে।এভারকেয়ার হাসপাতালে ছয় দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। তার মেডিকেল বোর্ড তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলেও চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন বাসায়।অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন লিভার, সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস ও কিডনির জটিলতা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।এসএফ
অন্তর্বর্তী সরকার যতদিন খুশি থাকুক, এটা হতে পারে না: পার্থ
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যতদিন খুশি ততদিন ক্ষমতায় থাকুক, এটা কোনো কথা হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ।শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘দুঃসময়ের কণ্ঠস্বর : স্বপ্ন ও বাস্তবতা’ শীর্ষক সংলাপে বক্তৃতা করেন তিনি।পার্থ বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে আমাদের সুযোগ দেয়া দরকার। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে আমি বলব তারা যতদিন খুশি ততদিন ক্ষমতায় থাকুক, এটা কোনো কথা হতে পারে না।’তিনি বলেন, ‘পলিথিন সরাতে এ সরকার আসে নাই। পুলিশের পোশাক-লোগো চেঞ্জ হবে কি না, স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন হবে কি না, সেগুলো এ সরকারের মুখ্য কাজ নয়। মুখ্য কাজ যেটা, সে রোডম্যাপ আমরা এখনও পাইনি।’বিজেপি চেয়ারম্যান বলেন, এ সরকার প্রথম যে ভুল করেছে, পরিবর্তনকে কেবল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফসল হিসেবে দেখছে। কিন্তু এটা ১৫/১৭ বছরের প্রতিফলন। যে কারণে বিরাট গ্যাপ দেখা দিচ্ছে।বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে মানুষের কোনো কানেকটিভিটি নেই উল্লেখ করে পার্থ বলেন, এমন মানুষ সরকারে থাকা দরকার, যাদের মানুষের সঙ্গে কানেকটিভিটি আছে। আপনাদের রাজনৈতিক দলকে গুডবুকে নিয়েই কাজ করতে হবে।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উদ্দেশ্য করে এ রাজনীতিবিদ বলেন, ‘আপনারা বলছেন, এক স্বৈরাচারের পরিবর্তে আরেক স্বৈরাচার আসতে দেবেন না। তাহলে নিজেরাই দল করুন। তাহলে বুঝবেন, রাজনীতি কী আর অ্যাকটিভিজম কী!’এবি
চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
ওয়ারীতে দুই সহোদর খুন: বাবা-ছেলেসহ গ্রেফতার ৩
রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় দুই সহোদরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত বাবা-ছেলেসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ওয়ারী থানা পুলিশ। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ছালেহ উদ্দিন। গ্রেফতাররা হলেন- জমির মালিক অ্যাডভোকেট মো. আকবর হোসেন (৬০), তার ছেলে মো. আসিফ সুলতান সিফাত (২৭) ও সিফাতের বন্ধু মো. আজাহারুল ইসলাম খান রিয়ান (২৮)। ডিসি সালেহ উদ্দিন জানান, মো. ছালেহ উদ্দিন স্বপ্নের আবাসনের জন্যে ১৪ লাখ টাকা জমা দেন। ১০ বছর অপেক্ষার পরও জমি বুঝে না পেয়ে মালিকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে প্রাণ হারান আপন দুই ভাই। ঘটনার পরদিন রাজধানীর ওয়ারীতে মামলা হলে তদন্তে নামে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) অভিযান চালিয়ে সভার থেকে জমির মালিক ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এ হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। তাদের দেখানো স্থান থেকেই হত্যায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। চুক্তি করে ১০ বছরেও ক্লাসিক রিয়েল স্টেট কোম্পানি ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দেয়া এবং সেখানে জমিমালিকের যোগসূত্র থাকায় তাদের বিরুদ্ধেও প্রতারণা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওয়ারি বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার। ঘটনার আরো করা জড়িত রয়েছে এ বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে উল্লেখ করে বিগত পরিস্থিতি কাটিয়ে জনগণের আস্থা ফেরাতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার আশা দিচ্ছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। এবি
রাজধানীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
রাজধানীর সাতরাস্তা এলাকা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও থানা পুলিশ।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. সিরাজ তালুকদার, মো. জাহাঙ্গীর ও শামীম হাসান।তেজগাঁও থানার ওসি মো. মোবারক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় একজন ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।পুলিশে এই কর্মকর্তা আরও বলেন, মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে—বাদীর ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে দুই দফায় ২৬ লাখ টাকা নেন গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। তবে বিদেশে পাঠানো হয়নি। পরে টাকা ফেরত চাইতে গেলে বাদীর কাছে আরও ৯২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।এবি
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতরা হলেন নাসির (৩০) ও মুন্না (২২)।শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে সাদেক খান বাজারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান বলেন, মোহাম্মদপুরের বুদ্ধিজীবী সাদেক খান আড়তের পাশে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে মুন্না ও নাসির নামে দুইজন নিহতের খবর পেয়েছি। এদের মধ্যে মুন্না সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এবং নাসির ঢাকা মেডিকেলে মারা যান।ওসি বলেন, মুন্নার নামে সাত-আটটি মামলা রয়েছে। তবে নাসিরের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড দুটি সংঘটিত হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আলম বলেন, নাসিরের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে মারা যান।এবি
বনানীর সুইট ড্রিম হোটেলে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ
রাজধানীর বনানীর সুইট ড্রিম হোটেলে বিদেশি মদ রাখার অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিয়ার ও বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে হোটেলটিতে অভিযান চালায়।অভিযানে এক হাজার ৫০০ এর অধিক বিয়ারের ক্যান, প্রায় ১ হাজার বিদেশি মদ ও নগদ চার লাখ টাকার বেশি অর্থ জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি টাকারও বেশি। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে হোটেলটির ম্যানেজারসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিচালক তানভির মমতাজের নেতৃত্বে ৩০ জনের একটি দল প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে এই অভিযান পরিচালনা করেন।তানভির মমতাজ বলেন, সুইট ড্রিম হোটেল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মাদকদ্রব্য বিক্রি করা হতো। যে সমস্ত জায়গায় অবৈধ নেশাজাতীয় দ্রব্য থাকবে, সেখানেই মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর অভিযান পরিচালনা করবে। মাদকের সঙ্গে জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরে ফেব্রুয়ারিতে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে ও শর্ত ভঙ্গের দায়ে সুইট ড্রিম হোটেলটির লাইসেন্স বাতিল করেছিল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।এসএফ
মোহাম্মদপুরে বাসায় ঢুকে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার কাটাসুর এলাকায় বাসায় ঢুকে শাহাদাত হোসেন (২০) নামে এক যুবককে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।মঙ্গলবার(১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কাটাসুরের গ্রীণভিউ হাউজিং এ এই ঘটনা ঘটে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান। তিনি বলেন, শাহাদাত নামের এক যুবককে বাসায় ঢুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত শাহাদাতকে স্থানীয়রা গুরুতর জখম অবস্থায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।তিনি আরও বলেন, কে বা কারা শাহাদাতকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু জানা যায়নি। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত কাটাসুর এলাকায় শাহাদাতকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। জীবন বাঁচাতে ওই সময় শাহাদাত একটি বাসায় ঢোকেন। কিন্তু তারপরও দুর্বৃত্তরা তাকে কোপাতে থাকে।এমআর
ফারাক্কা বাঁধের কারনে সুন্দরবনের প্রতিবেশ ব্যবস্থার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে
ফারাক্কা বাঁধের কারণে সুন্দরবন ও পশুর নদের প্রতিবেশ ব্যবস্থার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। ইউনেস্কো সুন্দরবনের ক্ষতির এক নম্বর কারন হিসেবে গঙ্গা নদীর উজানে ভারতের নির্মান করা ফারাক্কা ব্যারাজকে চিহ্নিত করেছে। ফারাক্কা ব্যারাজ নির্মানের পর থেকে সুন্দরবনের নদী-খালে মিষ্টি পানির প্রবাহ ব্যাপক ভাবে কমে গেছে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র রক্ষা করতে হলে গঙ্গা নদী দিয়ে মিষ্টি পানির প্রবাহ বাড়াতে হবে।বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় মোংলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশন ও সার্ভিস বাংলাদেশ'র আয়োজনে "ফারাক্কার প্রভাবে বিপর্যস্ত সুন্দরবন ও পশুর নদঃ আন্ত:সীমান্ত নদীতে বাংলাদেশের অধিকার" শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা একথা বলেন।বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মেঃ নূর আলম শেখ'র সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মোংলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কে এম রব্বানী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস, সুন্দরবন জাদুঘরের পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম, প্রভাষক শ্যামা প্রসাদ সেন, ড. অসিত বসু, ড. অপর্ণা অধিকারী, মোংলা সরকারি কলেজের প্রভাষক খান আরিফুজ্জামান, প্রভাষক খাদিজা আক্তার ও সার্ভিস বাংলাদেশ'র সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নবলোক'র প্রদীপ বিশ্বাস, সিএনআরএস'র রাখি, জেলে সমিতির বিদ্যুৎ মন্ডল, আব্দুর রশিদ হাওলাদার, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার নাজমুল হক, হাছিব সরদার, রাসেল শেখ, নারীনেত্রী কমলা সরকার প্রমূখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোংলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কে এম রব্বানী বলেন, আন্ত:সীমান্ত নদী থেকে পানি প্রত্যাহার করে নেয়া হচ্ছে। পলি পড়ে নদী-খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সভ্যতার সুযোগ যত গ্রহণ করছি প্রকৃতি ততো বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দূষণ রোধে প্লাস্টিক রিসাইকল এবং সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস বলেন, আমরা স্লুইস গেটের মাধ্যমে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করে রেখেছি। প্রকৃতি নির্ভর সমাধানের বিকল্প পথ খুঁজতে হবে। খাদ্যের অভাব এবং দূষণের কারনে পশুর নদের ইলিশ মাছ ছোট হয়ে যাচ্ছে। সভাপতির বক্তব্যে মোঃ নূর আলম শেখ বলেন, আন্ত:সীমান্ত নদী গুলোর ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ভারত ও অন্যান্য রাস্ট্রগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশ-ভারত এবং বাংলাদেশ-মায়ানমার আন্ত:সীমান্ত নদীর সংখ্যা যথাক্রমে ৫৪টি ও ৩টি। ৫৪টি নদীর মধ্যে ৩৬টি নদীর উপর ভারত মোট ৫৪টি ব্যারাজ এবং ড্যাম তৈরি করেছে। আন্ত:সীমান্ত নদ-নদীতে বাঁধ বা কোন প্রতিবন্ধকতা নির্মানের জন্য কিছু আন্তর্জাতিক আইন আছে। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, ভারত বাংলাদেশের বিষয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই আইনগুলোর কোন তোয়াক্কা করছে না। সেমিনারের সভাপতি মোঃ নূর আলম শেখ অংশীরাস্ট্র হিসেবে জাতিসংঘের পানি প্রবাহ আইনে (১৯৯৭) বাংলাদেশকে অনুস্বাক্ষর করার আহবান জানায়। এর আগে সকাল ১০টায় বাপা, সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশন, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ও সার্ভিস বাংলাাদেশ'র আয়োজনে ফারাক্কা বাঁধের অভিঘাতে বিপর্যস্ত সুন্দরবন ও পশুর নদ রক্ষার দাবিতে মোংলা নদীতে নৌ-বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এমআর
বাগেরহাটে আওয়ামী রাজনীতি নিষিদ্ধসহ বিভিন্ন দাবীতে মানববন্ধন
সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ,ক্ষমতায় থাকাকালীন পিলখানায় বিডিআর হত্যাকান্ড,মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাযতের সমাবেশে গনহত্যা,সারাদেশে হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা ও নিপীড়ন, ৫ ই আগষ্টের আগে সারাদেশে ছাত্র-জনতা হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী শেখ হাসিনার ফাঁসি সহ বাগেরহাটের দুর্নীতিগ্রস্থ আওয়ামীলীগ নেতাদের অপরাধ তদন্তপূর্বক বিচার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাগেরহাট জেলা বিএনপি পরিবার।রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধনে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেয়। তারা শেখ হাসিনাসহ বাগেরহাটের সাবেক এমপি ও আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের শাস্তির দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে।মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক এর কাছে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফকির তারিকুল ইসলাম, অ্যাড. আ. ওয়াদুদ মুক্তা, অ্যাডভোকেট হিরক মিনা, অ্যাডভোকেট শিকদার ইমরান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।এমআর
এখনই আন্তঃদেশীয় ট্রেন চালাতে চায় না ভারত
দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক হলেও ভারতের অনীহার কারণে রেলসেবা গত প্রায় দুই মাস হতে চলল বন্ধ রয়েছে। যাত্রী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের যাত্রা বিঘ্নিত হচ্ছে। রেলপথে কবে নাগাদ যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক হবে, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি কেউ। তবে পণ্য বাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে এ মাসের ৪ তারিখ থেকে। ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর খুলনা-কলকাতার মধ্যে যাত্রীবাহী ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটির চলাচল শুরু হয়।সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের খুলনা ও ভারতের কলকাতার মধ্যে যাত্রীবাহী ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ আন্তর্দেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করত বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে এ রুটে ট্রেন চলাচল। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক চিঠির বিপরীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু আন্তর্দেশীয় ট্রেন চালাতে ভারত সরকার এখনই রাজি হচ্ছে না।আবার যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে বন্ধ থাকা ভিসার প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। ভারতের দিক থেকে বাংলাদেশকে এখনো যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য নিরাপদ মনে করা হচ্ছে না। তাই পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলেও বন্ধ রাখা হয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেল ও সড়কপথে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য এবং যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে থাকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই সড়কপথে যাত্রী যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহন সীমিত পরিসরে চলমান থাকলেও রেলপথে যাত্রী, পণ্য পরিবহন একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। ২৫ জুলাই থেকে সড়কপথে শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি ও যাত্রী চলাচল। এরপর গত ১৯ আগস্ট দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালন বিভাগের এক চিঠির বিপরীতে পণ্যবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে অনুমতি দেয় ভারত। ওই রাতেই পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে অনাপত্তি পায় বাংলাদেশ। তারই প্রেক্ষিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলেও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করতে বাংলাদেশের রেল কর্তৃপক্ষ ভারতের রেল মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানালেও সাড়া মিলছে না।রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ডের সঙ্গে আলাদা করে যোগাযোগ হয়েছে। এতে দেশটির রেলওয়ে ট্রেন চালাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কিন্তু তারা এখনই যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে চাচ্ছে না। মূলত নিরাপত্তাঝুঁকির কথা বলা হচ্ছে। ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ট্রেন চালানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে চায়। তবে সিদ্ধান্ত কবে আসতে পারে তা কেউ জানাতে পারেনি। যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দিক থেকে চেষ্টা চলমান আছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।এদিকে গ্রীন লাইন পরিবহনের বেনাপোল কাউন্টারের ব্যবস্থাপক মি. রবীন বলেন, ঢাকা-কলকাতা সড়ক পথে গ্রীণ লাইন, সৌহার্দ্য, শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস ও কলকাতা-ত্রিপুরা সড়ক পথে মৈত্রী যাত্রীবাহী বাস সার্ভিস চলছে। নিয়মিতভাবেই এসব বাস ছেড়ে যাচ্ছে। এক বাসেই সরাসরি কলকাতা যাওয়া যাচ্ছে।বেনাপোল ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্টাস এন্ড এক্সপোর্টাস এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, প্রায় দুই মাস হতে যাচ্ছে রেলপথে যাত্রী পরিবহন বন্ধ আছে। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ী ও যাত্রীরা।বেনাপোল আন্তর্জাতিক রেল স্টেশন মাস্টার মো. সাইদুজ্জামান বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেলরুটে যাত্রী পরিবহন করে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরাপত্তাজনিত কারণে গত ১৯ জুলাই দুই দেশের মধ্যে রেলপথে যাত্রী যাতায়াত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ। তবে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কেটে যাওয়ায় দেশের অভ্যন্তরে রেলসেবা শুরু হয়েছে পুরোদমে। এখন আন্তর্জাতিক রুটে সেবা চালুর জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানালেও এখন পর্যন্ত সাড়া মেলেনি। এইচএ
বেনাপোলে ১৭ হাজার জাল টাকাসহ আটক ২
যশোরের বেনাপোল আমড়াখালি বিজিবি চেকপোস্ট থেকে ১৭ হাজার টাকার জালনোটসহ আলমগীর (৩০) ও সাব্বির (৩২) নামে দুইজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে আমড়াখালি চেকপোস্টের যশোর-বেনাপোল সড়কের উপর থেকে মটরসাইকেলসহ তাদেরকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আটক আলমগীর বেনাপোল পাটবাড়ি গ্রামের আবু বক্কারের ছেলে ও সাব্বির একই গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে।যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে আমড়াখালী চেকপোস্টের টহলদল কর্তৃক চেকপোস্টের সামনে দিয়ে বেনাপোল হতে শার্শাগামী একটি মোটরসাইকেল তল্লাশি করে ব্যাগের মধ্য হতে ১৭ হাজার টাকার জালনোটসহ দুইজনকে আটক করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জাল টাকার ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে স্বীকার করে। এছাড়াও জালনোট ব্যবসায় ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ও মোটরসাইকেল আটক করা হয়। যার সিজার মূল্য এক লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা। আটককৃত জালনোটসহ আসামীদেরকে শার্শা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজিবি‘র ওই কর্মকর্তা জানান।তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন যাবত স্বর্ণ, মাদক, ডলার, রুপি, হুন্ডি ও চোরাচালান মালামাল আটকের নিমিত্তে আমড়াখালী চেকপোস্টে বিজিবি’র বিশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী গোয়েন্দা তৎপরতাসহ অভিযান জোরদার করা হয়েছে।এআই
যশোর জেনারেল হাসপাতালে মামলায় টেন্ডার বন্ধ ১৪ বছর
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ১৪ বছর ধরে খাবারের টেন্ডার হয় না। ঠিকাদারের মামলার কারণেই টেন্ডার না হওয়ার কারণ। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বলেছেন, টেন্ডার না হওয়ায় নতুন রেটের উন্নত খাবার থেকে থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ঠিকাদারকে অনুরোধ করা হয়েছে। মানবিক কারণে মামলাটি তিনি তুলে নিতে রাজি হয়েছেন। হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, গত ২০১০-১১ অর্থবছরের পর থেকে খাদ্য সরবরাহের টেন্ডার হয়নি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আহবান করা টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগে উচ্চ আদালতে মামলা করেছিলেন ঠিকাদার হাফিজুর রহমান শিলু। এরপর থেকে খাবারের টেন্ডার হয়নি। আদালতের নির্দেশে টেন্ডার বন্ধ রয়েছে। সেই থেকে একজন ঠিকাদার রোগীদের জন্য খাবার সরবরাহ করে আসছেন। আগের ১২৫ টাকা রেটে খাবার সরবরাহ করায় উন্নত খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।হাসপাতালের ঠিকাদার হাফিজুর রহমান শিলু জানিয়েছেন, খাবারের টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগে তিনি ২০১৪ সালের ১৬ জুন উচ্চ আদালতে মামলা করেছিলেন। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মামলার বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনায় বসা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ, সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহাক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাশেদ খান। তারা মানবিক কারণে মামলাটি তুলে নেয়ার প্রস্তাব দিলে তিনিও সম্মতি দিয়েছেন। এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে মামলাটি তুলে নেয়ার ব্যাপারে চিঠি দেবেন। পরবর্তীতে তিনি আইনজীবির মাধ্যমে মামলা তুলে দেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করবেন। ঠিকাদার হাফিজুর রহমান শিলু আরও জানান, ১২৫ টাকা রেটে রোগীদের যথেষ্ট পরিমাণ ভালো মানের খাবার তিনি সরবরাহ করছেন।হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, মামলায় টেন্ডার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রোগীরা উন্নত খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ১২৫ টাকায় রোগীদের উন্নত খাবার সরবরাহ করা কঠিন। ফলে রোগীদের খাবারের মান বাড়াতে হলে নতুন টেন্ডার প্রয়োজন। যে কারণে ঠিকাদারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছেন। এক প্রশ্নে তত্ত্বাবধায়ক জানান, জেলা প্রশাসক মামলা তুলে নিতে ঠিকাদারকে চিঠি দিতে বললেই তিনি দেবেন।যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম জানান, ঠিকাদার মামলা করার সময় প্রতি রোগীর বরাদ্দ ছিলো ১২৫ টাকা। কিন্ত সরকারের নতুন হলো ১৭৫ টাকা। নতুন টেন্ডার না হওয়ার কারণে ১২৫ টাকার খাবার পাচ্ছেন রোগীরা। ফলে তারা উন্নত খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মানবিক বিষয় বিবেচনা করে ঠিকাদারকে মামলাটি তুলে নেয়ার অনুরোধ করা হলে রাজি হয়েছেন। মামলা তুলে নেয়ার পর নতুন করে খাবারের ওপেন টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার
রাঙামাটিতে জেলা প্রশাসনের জারিকৃত ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তবে পরিবহন ধর্মঘট চলমান রয়েছে।রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাঙামাটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নেন। গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাঙামাটি পার্বত্য জেলা আজ রবিবার বেলা ১১টা থেকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার পৌরসভা এলাকায় জারীকৃত ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করলাম। এদিকে, জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করলেও রাঙামাটি পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা জানিয়েছেন তাদের ডাকা পরিবহন ধর্মঘট চলমান থাকবে। রাঙামাটি জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক রহিম উদ্দিন আকাশ বলেন, আমাদের পরিবহন ধর্মঘট অনির্দিষ্টকালের জন্য চলমান থাকবে। উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি শহরে হামলার ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে শহরে ১৪৪ জারি করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। এইচএ
নোয়াখালীতে নিখোঁজের দুদিন পর দিনমজুরের মরদেহ মিলল বিলে
নোয়াখালীর চাটখিলে নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর বিল থেকে এক দিনজমুরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মিজানুর রহমান মহিন (৫০) লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার বাসিন্দা। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ নিহতের পিতার নাম জানাতে পারেনি। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের কেশুরবাগ এলাকার কাজী বাড়ির পূর্ব পাশের বিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার উদ্ধার করা হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে এটি হত্যাকান্ড মনে হচ্ছে। লাশের শরীরে আঘাতের চিহৃ থাকতে পারে। শরীর ফুলে যাওয়ায় সঠিক ভাবে বুঝা যাচ্ছেনা। ময়না তদন্ত করলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন মহিন। বিষয়টি তার স্বজনেরা পুলিশকে অবহিত করে। রবিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার কেশুরাবাগ এলাকার একটি বিলের মাঝখানে তার লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে নিহতের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে শনাক্ত করেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, ভিকটিমের শশুর বাড়ি চাটখিল উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের জমাদ্দার বাড়ি। কিছুদিন পূর্বে ভিকটিম তার শ্বশুর বাড়ির পার্শ্ববর্তী লিনা আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূর থেকে দেড় লক্ষ টাকা ধার নেয়। ওই টাকা এখনো পরিশোধ করা হয়নি। ভিকটিমের আত্বীয় স্বজনের ধারণা টাকা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভিকটিমকে মারধর করে বিলের মধ্যে লাশ ফেলে রাখতে পারে।চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে। এআই
নোয়াখালীতে আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় কলেজের সামনে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের পাশে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি পালন উপলক্ষে সকাল থেকে কলেজের শিক্ষার্থীরা, এলাকার বাসিন্দা ও শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলেজ প্রাঙ্গনে জড়ো হতে থাকেন। দুপুর বারোটার দিকে তারা কলেজের সামনে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনকারীরা এ সময় তাদের দাবি সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন কলেজের দাতা সদস্য ফিরোজ আলম, অধ্যক্ষ নুরুল আলমসহ শিক্ষার্থীদের অনেকেই। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক একজন শিল্প উদ্যোক্তা এবং খেতাবপ্রাপ্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। একই সঙ্গে তিনি সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এলাকায় নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেনবাগ উপজেলার শায়েস্তানগর এলাকায় লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি যখন মানসম্পন্ন পাঠদানে এবং ফলাফলে সকল মহলের সুনাম অর্জন করেছে। ঠিক সেই মুহূর্তে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিকে একাধিক রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে কলেজটিকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে একটি স্বার্থন্বেষী মহল। আমরা তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার এবং মিথ্যা মামলা দায়েরকারী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাহাঙ্গীর আলমের মালিকানাধীন বিপনী বিতান ও বাড়িতে হামলা ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। একই সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। সব মামলার প্রেক্ষিতে তিনি কলেজ ক্যাম্পাসে আসতে না পারায় শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান সহ কলেজের কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে। এআই
কুমিল্লায় শুভ্রতা ছড়াচ্ছে কাশফুল, দর্শনার্থীদের ভীড়
বাংলার পথঘাটে এসেছে শরৎ, ফুটেছে কাশফুল। এবার শুভ্রতায় সেজেছে বাংলার প্রকৃতি। কৃষ্ণচূড়া, সোনালু আর জারুলের পর জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল, নদীর ধার কিংবা পাহাড়ের ঢালু সেজেছে কাশফুলের সাদা রঙে। শরৎ মানেই শুভ্রতার সঙ্গে নীল আকাশের মিলন আর শরৎ মানেই কাশবনে শুভ্র কাশফুল। ষড়ঋতুর বাংলায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হারাতে বসেছে শরৎকাল। কিন্তু বর্ষাকে বিদায় জানাতে এ দেশে কাশবনে ফুঁটে ওঠে শুভ্র কাশফুল। যেথায় মনে করিয়ে দেয় হারিয়ে যায়নি শরৎ। শরতের শুভ্রতা মুগ্ধ করে বাঙালিদের। এমনি এক শুভ্রতার চিত্র উঠে এসেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার ছোট ছোট টিলা আর পাহাড়ে ফুটেছে কাশফুল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তার দুইধার, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের চারপাশ, কেন্দ্রীয় মসজিদ, লালন চত্বরের পাদদেশে দেখা মেলে শুভ্রতা ছড়ানো এই কাশবনের। আর কাশবনগুলোতে ভীড় করছে দর্শনার্থীরা। কাশফুলের শুভ্রতার সঙ্গে যেন নিজেদের মিশিয়ে নিচ্ছেন তারা। কাশবনের স্মৃতি ধরে রাখতে ফ্রেমেবন্দি করতে ভুলে না তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বহিরাগতরাও আসছেন এই কাশফুলের শুভ্রতাকে উপভোগ করতে। এসময় কথা হয় বেশ কয়েকজন দর্শনার্থীদের সঙ্গে। নগরীর অশোকতলা এলাকা থেকে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসেছিলেন সানজিদা আকতার। তিনি উৎফুল্ল হয়ে প্রতিবেদককে বলেন, কাশফুল হলো শুভ্রতার প্রতীক। এটা সবারই ভালো লাগার একটি বিষয়। ভার্সিটিতে ইনকোর্স পরীক্ষা চলছে, তারপরও কাশফুলের এই সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে এসেছি। চতুর্দিকে অনেক মানুষ দেখে খুব ভালো লাগছে।কথা হয় আরেক দর্শনার্থী সাইমুন ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, বন্ধুরা মিলে বাইক নিয়ে সেই লালমাইয়ের বাগমারা এলাকা থেকে এসেছি। কাশফুলের শুভ্রতার ছোঁয়া পেতে আর প্রশান্তির খোঁজেই কাশবনে ঘুরতে আসা। যেখানে কাশফুল প্রশান্তির পাশাপাশি ছোঁয়া দিয়েছে মনকে। খুব ভালো লাগছে। আগে তো আশেপাশেই দেখা মিলতো, তবে এখন বিশেষ কিছু জায়গা ছাড়া কাশবনের দেখা পাওয়া যায় না। এদিকে, নগরায়ণের ফলে দিন দিন প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই অপরূপ সৌন্দর্য। আগে পথে-প্রান্ততে কাশফুলের দেখা মিললেও, এখন সেটা হয় না। আবার, কাশবনে অনেক দর্শনার্থী এসে তারা কাশফুল ছিঁড়ে নিয়ে যায়। আবার অনেকে কাশবনে এলোমেলো ভাবে হেঁটে কাশবনের সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে। কাশফুলের সৌন্দর্য রক্ষা করতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান সচেতন নাগরিকরা। এছাড়াও, সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড, ব্যানার- ফেস্টুন টানিয়ে দেয়ার আহ্বান জানান তারা। এইচএ
সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয় ১৪ কোটি টাকার সেতুতে
১৪ কোটি টাকায় সেতুর মূল কাজ শেষ হয়েছে ৭ বছর আগে। তবে যা করলে স্থানীয়রা এটি ব্যবহার করতে পারতেন, সেটিই করা হয়নি। সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকাবাসী সেতুটি ব্যবহার করতে পারছে না। তাই নিজেদের ভোগান্তি দূর করতে সিঁড়ি বানিয়ে সেতুটি ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় জনসাধারণের।এতে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, এতো টাকার সেতু বানিয়ে যদি সিঁড়ি বেয়েই উঠতে হয়, তাহলে সেতু বানানোর কি দরকার ছিল। এলাকাবাসীর কাজে না আসলে এমন সেতু বানানোর প্রয়োজন ছিল না। তবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর বলছে, জায়গা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান হলে সংযোগ সড়ক তৈরি হবে।জানা যায়, একসময় সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের পূর্ব গাটিয়াডেঙ্গা, কাঞ্চনা, আমিলাইষ, এওচিয়া ও পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের অধিকাংশ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, সাধারণ লোকদের দৈনন্দিন কাজ, কৃষির ফসলাদি কেনা—বেচার জন্য ডলু নদী পার হওয়ার একমাত্র রাস্তা ছিল নির্মিত সেতুটির স্থান। নৌকা ছিল যাতায়াতের একমাত্র বাহন। শুষ্ক মৌসুমে নৌকায় পারাপারে তেমন ঝুঁকি না থাকলেও বর্ষায় মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাচল করত লোকজন। নানান ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজলি—কাশেম এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ২০১৭ সালের শেষদিকে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সেতু নির্মাণের পর জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সংযোগ সড়কের জন্য বিভিন্ন স্থানে ধরনা দিয়েও সফল হয়নি। এভাবেই পার হয়েছে সাত বছর। সেতুর কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাজে আসছে না এটি। ফলে ভোগান্তি রয়েই যায় এই পথে চলাচলকারীদের। তাই বাধ্য হয়েই সিঁড়ি বানিয়ে সেতুটি কোনোরকমভাবে ব্যবহার করছেন তারা।স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ব্রিজ তো একটা বানাইয়া রাখছে, কিন্তু আমাদের কোনো কাজে লাগছে না। আমরা আগে নদী পার হতাম নৌকায়, এখন ব্রিজ হয়েছে কিন্তু তা আবার সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়।’দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, জায়গা সংক্রান্ত জটিলতায় এতোদিন সংযোগ সড়ক তৈরি করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়রা সহযোগিতা করলে সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু করতে পারব।এইচএ
সখীপুরে শিয়ালের কামড়ে নারীসহ আহত ৮
টাঙ্গাইলের সখীপুরে শিয়ালের কামড়ে নারীসহ ৮ জন আহত হয়েছে। একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার বানিয়ারছিটের মাচিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। আহতরা হলেন– মাচিয়া গ্রামের আল-আমিনষ ও তার মা, শরীফ মিয়া, জুলহাস মিয়া, আসলাম, শাহিন এবং আনিস। গতকাল আনুমানিক রাত ১১টার দিকে একটি শিয়াল পর্যায়ক্রমে আক্রমণ করে তাদেরকে আহত করে।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে আল-আমিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠান হয়েছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, একই রাতে আনুমানিক ৩টার দিকে বানিয়ারছিট বাজারের নৈশপ্রহরী আবদুল আলীমকে (৫৫) শিয়াল কামড়ালে স্থানীয় একজনের সহযোগিতায় শিয়ালকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন , আহতদের অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন। একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এআই
শরীয়তপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কার্যক্রম চালুর দাবিতে মানববন্ধন
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় নবনির্মিত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দ্রুত উদ্ভোদনের দাবিতে মানববন্ধন করছে শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় নড়িয়া উপজেলা পরিষদের সামনে ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করা হয়। মানববন্ধনে নড়িয়া সরকারি কলেজ, নড়িয়া নাগরিক সমাজ, নড়িয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বিহারি লাল উচ্চ বিদ্যালয় সহ উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বক্তারা বলেন, নড়িয়া উপজেলা জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি চালু না হওয়ায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় দীর্ঘদিন যাবত নব-নির্মিত এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির কার্যক্রম চালু হচ্ছে না। তাই অতিবিলম্বে হাসপাতালটি চালুর দাবী জানান তারা। এআই
সিরাজদিখানে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গণমাধ্যমকর্মীদের মানববন্ধন
মুন্সিগঞ্জে সিরাজদিখানে সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক লাখোকন্ঠ পত্রিকার সিরাজদিখান উপজেলা প্রতিনিধি মো. আরিফ হোসেন হারিছের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গণমাধ্যমকর্মীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন । সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের আয়োজনে রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঘন্টা ব্যাপী প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্সসূচি পালন করা হয়। এসময় দৈনিক লাখোকন্ঠ পত্রিকার সিরাজদিখান উপজেলা প্রতিনিধি মো. আরিফ হোসেন হারিছের বিরুদ্ধে দায়েনমরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান গণমাধ্যম কর্মীরা। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন কারীরা বলেন, অন্যায় অত্যাচার ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলেই সাংবাদিকরা মামলা হামলার শিকার হচ্ছে। আমরা এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অনতিবিলম্বে সাংবাদিক মো. আরিফ হোসেন হারিছসহ সকল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। সিরাজদিখান প্রেসক্লাব সভাপতি মো. মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান পনির, ইমতিয়াজ উদ্দিন বাবুল, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সালাহউদ্দিন সালমান, সিরাজদিখান রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম লিংকন,প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদুর রহমান যুবায়ের, আমার সংবাদ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মো. জাফর মিয়া, চ্যানেল ২৪ এর শুভ ঘোষ,বাংলাটিভির মো. রুবেল মাদবর,শ্রীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মাইজভান্ডারী, সাংবাদিক আনিছুর রহমান নিলয়, সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ইলেকট্রনিক্স ও পিন্ট মিডিয়া গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।উল্লেখ্য সিরাজদিখান-বালুচর প্রধান সড়কের সাথে সংযোগকৃত নতুন ভাষানচর ব্রীজ সংলগ্ন একটি ইটের রাস্তার মধ্যখানে পিলার স্থাপন করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয় মৃত আমির হোসেন হেনার ছেলে হাবিবুল্লাহ হেনা ও সাফায়েত উল্লা হেনা সহ কয়েক জন। পরে পিলার স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে ঘটনাকে কেন্দ্র করে মীর বংশ ও বেপারী বংশের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘর্ষে তথ্য তুলে ধরে সংবাদ প্রচার করলে সাংবাদিক মো. আরিফ হোসেন হারিছকে আসামি করে মীর বংশের মাকসুদা বেগম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে।এআই
টাঙ্গাইলে পলিটেকনিক শিক্ষকদের মানববন্ধন
সমাপ্ত স্টেপ প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে প্রক্রিয়াধীন টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ১৪ জন শিক্ষকের প্রায় ৫০ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান ও দ্রুত রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে ওই কলেজের কর্মরত রাজস্বখাতে প্রক্রিয়াধীন শিক্ষকদের আয়োজনে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মাহাবুল আলম, মেকানিক্যাল বিভাগের ইন্সট্রাক্টর আব্দুর রহমান, টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের ইন্সট্রাক্টর সুমন খান, সিভিল বিভাগের ইন্সট্রাক্টর আব্দুল্লাহ মাহমুদ, ইলেকট্রনিক্স বিভাগের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর দূর্গা রানী, কনস্ট্রাকশন বিভাগের জুনিয়র ইন্সপেক্টর সুুজন সরকার প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রায় ৫০ মাস ধরে ১৪ শিক্ষকের বেতন বকেয়া রয়েছে। বেতন বকেয়া ও বন্ধ থাকার কারণে আমরা ক্লাস করাতে পারছি না। এভাবে বেতন বন্ধ থাকলে আমাদের সংসার কিভাবে চলবে। তাই আমাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করে ক্লাস যেন নিতে পারি সেজন্য প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।এআই
জাবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাহউদুল হাসান রায়হানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক। এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে গাজীপুরের হোতাপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।মাহউদুল হাসান রায়হান মামলার ৩ নম্বর আসামি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৫০ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।পুলিশ জানায়, শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকে আসামিরা গা-ঢাকা দেয়। পুলিশও অভিযান অব্যাহত রাখে। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের হোতাপাড়া থেকে মাহউদুল হাসান রায়হানকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আসামিকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক রায়হানের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই মামলায় অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।গত বুধবার সন্ধ্যায় শামীমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেট এলাকায় দেখতে পান কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ সময় উপস্থিত বিক্ষুব্ধ কয়েকজন তাকে মারধর করে প্রক্টর অফিস নিয়ে যান। পরে প্রক্টরিয়াল বডি তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সাভার গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে আশুলিয়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।এআই
বরিশালে জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ সমাবেশ এবং স্মারকলিপি প্রদান
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদেরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল এবং স্মারকলিপি প্রদান করেছে জাতীয় পার্টি।রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় পার্টি সমাবেশে বরিশাল মহানগর কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মহসিন উল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং অতিরিক্ত মহাসচিব মেজর (অব:) রানা মোহাম্মদ সোহেল।এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা এবং বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন তাপস।এসময় বক্তারা বলেন, জাতীয় পার্টি ২০১৪ সাল থেকেই বিনা ভোটে কর্তত্ববাদি শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল। জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে তখন থেকেই ষড়যন্ত্র চলে আসছে। এখন নতুন করে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেরিফা কাদেরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ষড়যন্ত্রেরই প্রকাশ। বহু প্রাণের বিনিময় অর্জিত এই বিজয় যাতে করে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় এজন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আমাদের দাবি জাতীয় পার্টি নেতাদ্বয়ের বিরুদ্ধে দায়ে করা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করা হোক।সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে জেলা প্রসাশকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে।এআই
ঝালকাঠিতে সড়ক সংস্কারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি ঝালকাঠির নলছিটিতে সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীরা। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে পৌর এলাকার অনুরাগ গৌরিপাশা আল হাসান দাখিল মাদরাসার সামনের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে স্থানীয়রা, মাদরাসার শিক্ষক ও ভিবিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করে। এসময় তারা পৌর এলাকার কাঠেরপুল হইতে অনুরাগ বাজার খেয়াঘাট পর্যন্ত সড়কের বেহাল অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত সময়ে সড়ক মেরামত করার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, অনুরাগ গৌরিপাশা আল হাসান দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা বশির উদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা এস.এম টুলু, এফ.এইচ রিভান, মো. হানিফ মল্লিক, সমাজকর্মী বালী তাইফুর রহমান, মো. শাওন হাওলাদার প্রমুখ। এসময় তারা বলেন, আমাদের এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১০ হাজার জনসাধারন যাতায়েত করে। খানাখন্দে ভরা এই সড়কে একজন সুস্থ মানুষই চলাফেরা করতে পারে না। সেখানে একজন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া খুবই কষ্টকর ব্যাপার। সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে পারে না।এআই
কলাপাড়ায় নবজাতককে রেখে পালিয়ে গেলেন মা
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১৩ দিনের এক নবজাতককে হাসপাতালে রেখে পালিয়েছেন এক মা। গতকাল শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে কলাপাড়া ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই নবজাতক আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জেএইচ খান লেলিনের তত্বাবধানে রয়েছে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, শেষ বিকালে ওই মা তার নবজাতককে নিয়ে হাসপাতালে এসে শিশু ওয়ার্ডের ৮ নম্বর বেডে বসেন। রাত ৮টার দিকে ওই নবজাতককে ঘুম পাড়িয়ে চলে যান। পরে গভীর রাত পর্যন্ত সে ফিরে না আসায় সেবিকারা ওই নবজাতককে ডা. লেলিনের হেফাজতে রাখেন।আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. লেলিন বলেন, মা ফিরে না আসায় আপাতত আমরা দেখভাল করছি। প্রয়োজনিও চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। শারীরিক সুস্থতা আছে।কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মদ বলেন, নবজাতকটির মাকে খুঁজে পাওয়া না গেলে আইনি প্রক্রিয়ায় দত্তক দেয়া হবে।এইচএ
কুয়াকাটায় পুলিশ-বিএনপির যৌথ আয়োজনে মতবিনিময় সভা
পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ ও পৌর বিএনপি'র যৌথ আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হোটেল নীলাঞ্জনার হল রুমে দুই ঘন্টা ব্যাপী এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ মাহফুজ আলম'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আনসার উদ্দিন। প্রধান আলোচক ছিলেন কুয়াকাটা পৌর বিএনপি'র সভাপতি আব্দুল আজিজ মুসল্লি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা পৌর বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল মাস্টার, পৌর বিএনপি সহ-সভাপতি ডাঃ আব্দুল মান্নান, কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ানুল ইসলাম রাসেল, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক মো. রিয়াজ খান, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদ, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টোয়াক) এর সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম খানসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা । এ সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) নেতারা বলেন, আমাদের কুয়াকাটা এটি রক্ষণাবেক্ষণ করা সকলের দায়িত্ব। বিগত দিনে যা হয়েছে তা যেন আর না হয়। আমাদের বিএনপির নেতৃত্বে সকল দুর্নীতি,অনিয়ম, অন্যায় মুছে দিয়ে সুন্দর একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে চাই। এতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। নেতারা আরও বলেন, যদি কোন ব্যক্তি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পরিচয় দিয়ে অনৈতিক কোন সুবিধা হাসিল করতে চায়, সেখানেই তাকে প্রতিহত করতে হবে এবং দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে এমন কোন কার্যকলাপে কেউ যুক্ত হলে সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. আনসার উদ্দিন সমাপনী বক্তব্য বলেন, আমরা কুয়াকাটা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি। কুয়াকাটা আপনাদের এখানে অনেকেরই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মূলে রয়েছে পর্যটক। তাই পর্যটকদের আস্থা, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই। আমরা সকলে একযোগে কাজ করতে চাই এবং সকলের সহযোগিতার বিকল্প নেই। এআই
বরিশালের সেই ফেন্সিডিল বাবুল গ্রেপ্তার
বরিশাল নগরীর সেই আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী ফেন্সি বাবুল ৩৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক।শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে পরিত্যাক্ত গোডাউন ঘর থেকে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে। এ সময়ে অভিযান চালিয়ে তার বাসা ও গোডাউন থেকে ৩৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বাবুলের সহযোগী কাউনিয়ার মজনু। তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য ডিবি পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।শনিবার রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, এয়ারপোর্ট থানাধীন নথুল্লাবাদ সংলগ্ন লুৎফর রহমান সড়কের বাসিন্দা কাঞ্চন আলী তালুকদারের ছেলে আজিজ তালুকদার ওরফে বাবুল তালুকদার নগরীর দক্ষিণ বাঘিয়া এলাকাসহ নগরীতে দীর্ঘদিন ধরে একটি মাদকের সিন্ডিকেট পরিচালনা করে আসছিলো। এর আগেও বাবুল একাধিকবার পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরেন বাবুল।শুধু তাই নয় বাবুল মাদকদ্রব্য বিক্রি করে নগরীতে ৫ তলা ফাউন্ডেশন নিয়ে করেছেন একটি ভবন। পুলিশি নজরদারী এড়াতে পরিত্যাক্ত একটি ভবনের মধ্যে বসিয়েছেন অত্যাধুনিক সিসি টিভি ক্যামেরা। যেখানে বসে নিজেই মনিটরিং করেন মূল সড়ক। পুলিশের উপস্থিতি টের পেলেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পালিয়ে যান তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি বাবুলের।মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মোঃ সগির হোসেন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া বাবুল একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে বরিশালের বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।শনিবার দুপুরে গোপনে সংবাদের ভিত্তিতে তার নিজ বাসার পাশ্ববর্তী একটি মালামালের গোডাউনে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময়ে তার কাছ থেকে ৩৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। তবে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়া তার সহযোগী মজনুকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলমান রয়েছে।আটককৃত বাবুল তালুকদারের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং রবিবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। এইচএ
মমেক হাসপাতালের ১১ ইন্টার্ন চিকিৎসক বহিষ্কার, হোস্টেলে নিষিদ্ধ ২
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের ১৩ ইন্টার্ন টিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এতে অভিযুক্তদের আজীবন হোস্টেলে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি বিভিন্ন মেয়াদে ইন্টার্নশীপ থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের পরিচালক ও ডিসিপ্লিনারী কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।অফিস আদেশ অনুযায়ী, ৪ জনকে ২ বছর, ৬ জনকে ১ বছর এবং ১ জনকে ৬ মাস মেয়াদে ইন্টার্নশিপ স্থগিত করা হয়।অফিস আদেশে বলা হয়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারী কমিটির সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ওই নোটিশে বলা হয়- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান গ্রহণ, আন্দোলন বানচালের উদ্দেশ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের হুমকি প্রদান, ভয়ভীতি প্রদর্শন বিগত স্বৈরাচারি সরকারের অপরাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ, সাধারণ শিক্ষার্থী-চিকিৎসকদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, ক্যাম্পাস ও তৎসংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, হোস্টেলে মাদক বাণিজ্য- মাদক সেবনসহ ইত্যাদি অপরাধে হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারী কমিটির এক জরুরী সভা শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।এর মধ্যে অভিযুক্ত ১৩ জনকে আজীবনের জন্য হোস্টেলে নিষিদ্ধ করাসহ ডা. প্রতীক বিশ্বাস, আবু সালেহ মো. লতিফুল কবির কৌশিক, সুনীতি কুমার দাস এবং ফায়াদুর রহমান আকাশকে ২ বছরের জন্য। শামীম রেজা, নাইমুর রশীদ, মেহেদী হাসান রোমান, আবু তাহের বিপ্লব রুবেল, কামরুল হাসান ও আবু রায়হানকে ১ বছরের জন্য এবং সাখাওয়াত হোসেন সিফাত নামের ১ জনকে ৬ মাসের জন্য ইন্টার্নশীপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ডা. অর্নব কুন্ড এবং কাশফি তাবরিজকে হোস্টেলে আজীবন নিষিদ্ধ করা হলেও তাদের ইন্টার্নশীপের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এই আদেশে।এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারী কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক আদেশে অভিযুক্ত এই ১৩ ইন্টার্ন চিকিৎসকের প্রশিক্ষণ স্থগিত করে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে এবং স্বশরীরে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়।একাধিক শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, যারা অভিযুক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা সবাই মমেক কলেজ ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতাকর্মী। তাদের বিরুদ্ধে মাদক সম্পৃক্ততা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এর আগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ১১ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংশ্লিষ্ট একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল করে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে আবেদন জানান। এনিয়ে অভিযুক্তসহ ছাত্রলীগ সমর্থিত অপর একটি গ্রুপের সাথে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে তাৎক্ষণিক ঘটনার খবর পেয়ে সেনা সদস্য, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এইচএ
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ১৫
জামালপুরের সরিষাবাড়ীর সীমান্তবর্তী এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষে মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে সীমান্তবর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার মনসুর নগর ইউনিয়নের ছালাল চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। গুরুত্বর আহতদের সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।আহতরা হলেন- মানিক মিয়া, দুলাল মিয়া, জাহিদুল ইসলাম, আলম মিয়া, হেলাল উদ্দিন, আকাশ মিয়া, রফিকুল ইসলাম, দুলাল মিয়া, রাসেল মিয়া, সোহাগ মিয়া, সাব্বির ও শাহীন আলম। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যায়।স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন যাবৎ একই এলাকার জয়নাল খন্দকারের ছেলে সামছুল খন্দকার ও মৃত আঃ রহিম মুন্সির ছেলে রফিকুল ইসলাম রফিক এর সাথে প্রায় ৫ একর ৪২ শতাংশ ফসলি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার দুপুরে ওই জমিতে রফিকুল ইসলামের লোকজন হাল দিতে গেলে সামছুল হক খন্দকারের লোকজন বাধা দেয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি একপর্যায় মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে রক্তাক্ত দেহ নিয়ে উভয় পক্ষে ১০/১৫জন লোক সরিষাবাড়ী হাসপাতালে এসে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।ভুক্তভোগী সামছুল হক খন্দকার বলেন, এই জমি আমাদের। জমির (সিএস, আরওআর ও বিআরএস) সকল রেকর্ড আমাদের নামে হয়েছে। এলাকায় এই নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত শালিস বৈঠকে মাতাব্বরগণ দলিলাদি দেখে আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। তবুও তারা জমি ছাড়তে রাজি নয়। পরে আমরা কোর্টে সাতধারা মামলা করি। পরে তারা কোর্টে গিয়ে জমিতে আর আসবে না এবং মারামারি করবেনা এই মর্মে মুচলেকা দিয়ে আসেন। এর দুইদিন পর তারা আবারও জমিতে হালচাষ দিতে যায়। এতে বাধা দিলে তারা আমাদের উপর অতর্কিত হামলাভাবে করে।এব্যাপারে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই জমি আমাদের এবং আমরা দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছি। হঠাৎ করে তারা জমির মালিকানা দাবি করছে। কয়েক দিন আগে জমিতে তারা জোরপূর্বক কলাই বুনেছে। আজ সেই জমিতে হাল বাইতে গেলে তারা বাধা দেয়। পরে এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়।এবিষয়ে নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক মুঠোফোনে জানান, এঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।এআই
চেল্লাখালী নদীর আয়রন সেতু ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগ চরমে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারমারী-পলাশীকুড়া-বাতকুচি এলাকায় চেল্লাখালী নদীর ওপর নির্মিত মিনি স্টীল ব্রিজটি ভেঙে নদীতে পড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন কমপক্ষে ১০ গ্রামের হাজারো মানুষ। ওই ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় দুই পাড়ের মানুষ ৫/৬ কিলোমিটার ঘুরে চলাফেরা করছেন। তাই ভুক্তভোগীরা কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ করার জোড় দাবি জানিয়েছেন।এলাকাবাসি জানায়, সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকার মানুষের নদী পারাপারের কথা বিবেচনা করে উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুকচিরে প্রবাহিত পাহাড়ি খরস্রোতা চেল্লাখালী নদীর পলাশীকুড়া ও বাতকুচি এলাকায় এলজিএসপির অর্থায়নে মিনি স্টীল ব্রিজটি নির্মিত হয়। ব্রিজটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় বিগত ২০২২ সালে পাহাড়ি ঢলের প্রবল স্রোতে ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। গত প্রায় ৫/৬ বছর আগেই এটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়তে শুরু করে। তখন কোন প্রকার সংষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ব্রিজের লোহার পাইপগুলো অনেক আগেই জং ধরে ক্ষয় হয় যায়। এছাড়া প্রতি বছর বন্যায় ব্রিজের দুই পাশের মাটি ধসে যায়। পানির স্রোতের কারণে ব্রিজের পিলারগুলোর মাটি সরে যাওযায় নড়বড়ে হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর এলাকাবাসী মিলে ধসে যাওয়া অংশে বাঁশ দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে কোনমতে যাতায়াত করতে পারতেন। কিন্তু দুই বছর আগে হঠাৎ বন্যায় পাহাড় থেকে নেমে আসা প্রবল স্রোতের তোড়ে ব্রিজটির মাঝ বরাবর দুই ভাগ হয়ে নদীর মধ্যে ধসে পড়ে। স্থানীয় বাতকুচি গ্রামের বাসিন্দা সুরুজ্জামান জানান, এই ব্রিজের দিয়ে জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র মধুটিলা ইকোপার্ক, পোড়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, বাতকুচি, মেষকুড়া, সমশ্চুড়া, বারমারী বাজার, পলাশীকুড়া, আন্ধারুপাড়া, ডালুকোনা, শেকেরকুড়া ও বোনারপাড়া গ্রামের হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন। এমন কী পলাশীকুড়া জনতা উচ্চ বিদ্যালয়, পলাশীকুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হোসেন আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাপ্তী ও বেগম রৌশন আরা একাডেমিতে শতশত শিক্ষার্থী প্রতিদিন যাতায়াত করে। দুই বছর ধরে ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় হাজারো পথচারী এখন বিপদে পড়েছেন। তারা বিকল্প পথে কমপক্ষে ৫/৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে এসব গ্রাম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করছেন। এতে শিশু ও নারী ও বৃদ্ধ রোগীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমনকি বারমারী বাজারে নিত্যপণ্য ক্রয় করতে আসতে র্দুভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। তাই দ্রæত এখানে নতুন একটি ব্রিজ পুনর্র্নিমাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।সংশ্লিষ্ট পোড়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, মানুষের ভোগান্তি কমাতে চলতি বছরের প্রথম দিকে পরিবেশ ও মৃত্তিকা অধিদপ্তরের একটি টিম এসে পর্যাবেক্ষণ করে গেছেন এবং এলজিইডির প্রকৌশলীরা এসে মাপঝোক করেছেন। তারা এখানে দ্রæত নতুন ব্রিজ নির্মাণের কথা বললেও দীর্ঘদিন হয়ে গেল কোন কাজ হচ্ছে না। তিনি দ্রুত একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান। এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ীর এলজিইডির উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে এলজিইডির পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রাাথমিক জরিপ চালোনো হয়েছে। এখন কর্তৃপক্ষের আদেশ পেলেই দ্রুত পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।এফএস
শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চা দোকানী নিহত
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নিজ চায়ের দোকানের বৈদ্যুতিক চুলায় সংযোগ দিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শাহিন মিয়া (৩৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌণে ৯টার দিকে উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের পশ্চিম নিশিন্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক শাহিন মিয়া ওই গ্রামের মৃত আতর আলী ছেলে৷এলাকাবাসি জানায়, প্রতিদিনের মতো শাহিন মিয়া শনিবার সকালে নিজ দোকানে চা তৈরি করার জন্য চুলায় সেট করে রাখা মিনি বৈদ্যুতিক মোটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে অসাবধানতাশধত ছেড়া তার হাতে লেগে বিদ্যুৎতায়িত হন৷ পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নন্নী বাজারের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পরে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন৷ নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷এইচএ
আশ্বিনের তীব্রগরম ও সীমাহীন লোডশেডিং ভোগান্তির যেন শেষ নেই
আশ্বিন মাসেও মেঘমুক্ত আকাশ, সূর্যের চোখ রাঙানি। তীব্র তাপদাহের দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সীমাহীন লোডশেডিং। গরমে সব চেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষেরা।কয়েকদিন থেকে শেরপুরের গারো পাহাড়ে আশ্বিনের তীব্র রোদে পুড়ছে সীমান্তবাসি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে তাপমাত্রা। এতে শহর ও গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। রিকশাচালক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবী ও দিন মজুররা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। তীব্র এ গরমে সাধারণ মানুষ বের না হওয়ায় আয় কমেছে এসব মানুষদের। স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা।নালিতাবাড়ী উপজেলার উত্তর নাকশী এলাকার কৃষিশ্রমিক হবিবুর রহমান জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে ধান ক্ষেতে বেশিক্ষণ কাজ করা যায়না। গরম বেশি হওয়ায় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাম বের হয়। অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়ার কারণে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং অনেক শ্রমিক অসুস্থ হয়েপড়ে তিনি আরও জানান, তাপ প্রবাহের কারণে শ্রমিকরা এখন অতিরিক্ত মজুরি পেয়েও অনেকেই কাজ করতে আগ্রহী নন।একই এলাকার কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, অতিরিক্ত গরমের কারণে কৃষকরা মাঠে বেশি সময় কাজ করতে পারেননা। অনেক সময় কাজ করতে গিয়ে অতিরিক্ত ঘাম বের হয়ে যাওয়ায় অসুস্থ হওয়ার উপক্রম দেখা দেয়। এই মাত্রারিক্ত গরমের কারণে তারা এখন আর মাঠে কাজ করতে চাননা। অপর কৃষক মনিরুজ্জামান বলেন, দিন-রাতে কতবার বিদ্যুৎ যায়, তার হিসাব থাকেনা। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় আমন ধান ক্ষেতে সেচ দিতে পারছেননা কৃষকরা। তার উপর আশ্বিনমাসের শুরুতে এসেও দাবদাহ শুরু হয়েছে। এমন সময়ে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি আমরা। গরমে আমার পরিবারের কেউই ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেনা।পথচারী সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রচন্ড গরম হওয়ায় বাইরে বের হওয়ায় অনেক কষ্ট হয়। জরুরি প্রয়োজনের কারণেই বাইরে বের হওয়া। এ সময়ে বৃষ্টি হলে অনেক ভালোহত।রিক্সাচালক বদিউজ্জামান জানান, রোদের কারণে মানুষ আর বেশি বাইরে বের হয় না। সে কারণে আমাদের আয় হচ্ছেনা। আগে দিনে ৫০০-৬০০ টাকা আয় হত। এখন ২৫০-৩০০ টাকার মত হয়। আমাদের রিক্সা জমার টাকা তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নালিতাবাড়ী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. আখতারুজ্জামান সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, এ উপজেলায় দুইসাব স্টেশনে ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা রয়েছে। কিন্ত প্রতিদিন গড়ে ৭-৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। গ্রাহকের চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎ কম সরবরাহ। এ কারণে লোডশেডিং বেড়েছে। দ্রুত সময়ে সমস্যা সমাধানের আশা করছেন তিনি।এইচএ
আল্লাহপাক আমাকে মানুষের সেবা করার জায়গা করে দিয়েছেন: নবাগত পুলিশ সুপার
‘এই প্রথম আল্লাহপাক আমাকে মানুষের সেবা করার একটা জায়গা করে দিয়েছেন’ নীলফামারীর নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ‘এই প্রথম আল্লাহপাক আমাকে মানুষের সেবা করার একটা জায়গা করে দিয়েছেন। আশা করছি আল্লাহর রহমতে নীলফামারীর মানুষ ভালো থাকবে। প্রত্যেকটা নিরীহ মানুষ ভালো থাকবে তবে দুষ্ট লোক ভালো থাকবে না। আমি জনগণের বন্ধু না, আমি ভালো মানুষের বন্ধু খারাপ মানুষের বন্ধু না।’তিনি আরও বলেন, ‘আমি যে স্টাইলে চাকরি করি এখান থেকে চলে যাওয়ার পরে আমার বাবা-মা তুলে কেউ গালি করবে এই ধরনের চাকরি আমি করি না। আমি কারো পক্ষের না। আমি ন্যায়ের পক্ষে চাকরি করি। এর জন্য হয়তো আপনার পক্ষে যাবে অথবা বিপক্ষে যাবে।’এছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এবং জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, মাদক নিয়ন্ত্রণ, সাইবার কিলিং, কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ, যানজট নিরসন ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও আস্থা অর্জন করে পুলিশি সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।এর আগে নীলফামারী জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উক্ত মতবিনিময় সভা শুরুতে জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও কুশল বিনিময় করেন নবাগত এ পুলিশ সুপার।এইচএ
বিরামপুরের সাবেক মেয়রের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
দিনাজপুরের বিরামপুরে সাবেক পৌর মেয়র আক্কাস আলীর দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিরামপুরের সর্বস্তরের ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সাবেক পৌর মেয়র আক্কাস আলীর আপন বড় ভাই ভুক্তভোগী মোজাম্মেল হক, ভুক্তভোগী আরিফুল ইসলাম আরিফ ও ভুক্তভোগী অ্যাডভোকেট সোহেল রানার ছোট ভাই সৌরভ হোসেন লিখিত বক্তব্যে জানান, সাবেক মেয়র আক্কাস আলী আওয়ামীলীগের মেয়র নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম-দুর্নীতি, জমি দখল, বিভিন্ন তদবির ও নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। এছাড়াও হোল্ডিং নম্বর প্রদান, হাট-বাজার ইজারা, পশু হাটে নিজস্ব লোক দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, আওয়ামীলীগের লোকজনকে মাস্টার রোলে পৌরসভায় চাকরি প্রদান করে কাগজে-কলমে লোকবল বেশি দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, সোলার প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, পৌরসভার মালিকানাধীন দোকানঘর ও চাম্বিনা (মাছ ও সবজি বিক্রেতাদের বসার জায়গা) থেকে জামানতের টাকা তুলে পকেটস্থ করাসহ নানা অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট সোহেল রানার নাম ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিরামপুর পশু হাট ইজারা নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং স্থানীয় অনেক ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা নিয়ে তা আর ফেরত দিচ্ছেন না বলে মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়।এবি এসব অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকেরা সাবেক পৌর মেয়র আক্কাস আলীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি সাবেক পৌর মেয়রের ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।এবি
পঞ্চগড়ে আরিফ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ
পঞ্চগড়ে খতমে নবুওয়ত সমর্থক মুসুল্লিদের সাথে আইনশঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত আরিফুর রহমান আরিফ হত্যার বিচার ও তার পরিবারের পুণর্বাসন দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের শেরে বাংলা পার্কের পঞ্চগড়-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কে এই কর্মসূচি পালন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।শহীদ আরিফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নিহত আরিফের পরিবারের সদস্য, আহত পরিবারের সদস্য, পরিষদের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার তিনশতাধিক মানুষ অংশ নেন।গত বছরের ৩ মার্চ আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে আন্দোলনের সময় আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে খতমে নবুওয়ত সমর্থক মুসুল্লিদের এই সংঘর্ষ হয়। এ সময় জেলা শহরের ডোকরোপাড়া এলাকায় আরিফুর রহমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে মারা যান। এ ঘটনার প্রায় তিন মাস পর একই বছরের ৪ জুন সদর থানার উপ পরিদর্শক ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। দাফনের চার মাস ৭ দিন পর বিজ্ঞ আদালতের আদেশে ১০ জুলাই মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এরপর ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় থেমে যায় আরিফ হত্যার বিচার কাজ।
ঘোড়াঘাটে কুখ্যাত ৪ ডাকাতসহ ট্রাক আটক
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্ত জেলা ডাকাত দলের সদস্য ৪ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি নাম্বার প্লেটসহ (ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-৬৬১২ এবং ঢাকা মেট্রো-১৫৬৬৭০) একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।আটকরা হলেন- দিনাজপুরের বিরল উপজেলার রতন মিয়া (৩৭) ওরফে গাল কাটা কালু, কুমিল্লা জেলার সদরের রুবেল মিয়া (৩৬), পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার ইউসুব মিয়া (৪৮), নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার আল-আমিন (৩০)। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর ) দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে দিনাজপুর -গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের পাশে সাহেবগঞ্জ ভাঙ্গা মসজিদ সংলগ্ন মেসার্স বর্ণমালা ট্রেডাস এর ভুট্টা বোঝায় গুদাম ঘরে কতিপয় ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ট্রাকে করে ডাকাতির উদ্দেশে অবস্থান করছে।এ সময় স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন মিলে সেখানে অভিযান চালিয়ে ট্রাকের ভেতরে থাকা চাপাতি ও কাতানী, লোহার রড, রশি সহ ৪ জনকে আটক করা হয়। ট্রাকে থাকা ডাকাত দলের আরও বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়।ঘোড়াঘাট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানায়, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে জানতে পারি, তারা ট্রাকে করে দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করতো এবং তাদের নামে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং পলাতকদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।এআই
আমনে মাজরা পোকার আক্রমণ, কীটনাশকেও কাজ হচ্ছে না
ঠাকুরগাঁওয়ে আমন ধানখেতে মাজরা পোকার আক্রমণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। কীটনাশক প্রয়োগেও পোকা দমন না হওয়ায় ধানের কাংখিত ফলন নিয়ে শংকায় আছেন তারা। কৃষকরা বলছেন- এ বছর অতিরিক্ত তীব্র গরমে জমিতে দেয়া কীটনাশক কার্যকারিতা হারাচ্ছে, এতে বেড়ে যাচ্ছে উৎপাদন খরচ।যদিও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, তীব্র তাপ প্রবাহে পরিবর্তন হয়েছে মাজরা পোকার ধরন। পোকার আক্রমণ থেকে ধানগাছ রক্ষায় কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পরামর্শ। সদর উপজেলার সালান্দর, মাদারগঞ্জ, রায়পুর, বিলপাড়া, গৌরিপুর, গড়েয়া ও বেগুনবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার ফসলি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, আমন খেতের গাছে এসেছে থোড়। কিছু আগাম জাতের ধান থেকে শিষ বের হয়েছে। এ সময়ে কেউ ধানখেতে কীটনাশক, কেউবা সার ছিটাচ্ছেন, কেউ ব্যস্ত আগাছা পরিষ্কারে। জেলার সদর উপজেলার নারগুন এলাকার কৃষক রমজান আলী স্বপন জানান, এখনও ধানের গাছ থোড় পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিবছর তিনবার বালাইনাশক ছিটালেই আর প্রয়োজন পড়েনা। বেশি হলে কখনো চার বার দিতে হয়েছে। এবার গাছের এখনো শিষ বের হয়নি। এরই মধ্যে তিনবার বালাইনাশক দিতে হয়েছে। আরও অন্তত তিনবার না দিলে এবার ফসল ঘরে তুলতে পারবো না। সদরের সালান্দর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, মাত্র ধানের থোড় বের হচ্ছে। এ মুহূর্তে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এর প্রতিকার না করা হলে আমাদের মতো বর্গা চাষিদের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।খোচাবাড়ি গ্রামের কৃষক জহির বলেন, প্রতিবছর বর্গা চাষ, পরিচর্যা, সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ছে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচও বেড়েছে। তার ওপর পোকার আক্রমণ দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে।রায়পুর এলাকার কৃষক জয়নুল বলেন, আবাদের শেষ সমায়ে হঠাৎ ধানের শিষ কেটে দিচ্ছে পোকা। এতে করে শিষ সাদা হয়ে বের হচ্ছে। নিজের ৬ বিঘা জমিতে ৯ হাজার টাকা খরচ করে চারবার স্প্রে করছি এতেও পোকা ধমন হচ্ছে না।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে আমনে চাষ হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, তীব্র তাপ প্রবাহে পরিবর্তন হয়েছে মাজরা পোকার ধরন। যদিও এই সময়ে ধানগাছে মাজরা পোকার আবির্ভাব ঘটে। পোকা দমনে কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে কৃষি উপসহকারীগণ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূল এবং রোগবালাই থেকে ফসল রক্ষা করা গেলে এবারও ধানের বাম্পার ফলন হবে।এআই
প্রতিশোধ নিবনা বলেছি, কিন্ত অপরাধের শাস্তি পেতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা ঘোষণা দিয়েছি আমরা কারো ওপর প্রতিশোধ নিবনা। প্রতিশোধ নেওয়ার মানে হচ্ছে আইন হাতে তুলে নেওয়া। আইন যেখানেই হাতে তুলে নেওয়া হয়েছে সেখানেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। প্রতিশোধ প্রতিহিংসার জন্ম দেয়, যুগ যুগ এটা চলতে থাকে। আমরা চাই এই নোংরা কাজের এখানেই পরিসমাপ্তি হোক। তবে ন্যায় প্রতিষ্ঠার দাবি হচ্ছে, যিনি যে অপরাধ করেছেন নির্দিষ্ট অপরাধের জন্য তাকে শাস্তি পেতে হবে। এবং সেটা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে। বেআইনিভাবে নয়, রক্ষী বাহিনী যেভাবে খুন করেছে সেভাবে নয়, নব্য রক্ষীবাহিনী দিয়ে আপনি যেভাবে বাংলাদেশের মানুষকে আয়নাঘরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে মাসের পর মাস বছরের পর বছর রেখেছেন সেইভাবে নয়, যেভাবে বিনাবিচারে ক্রসফায়ারের নামে যেখানে সেখানে মানুষ খুন করেছেন ওইভাবে নয়, আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে। যদি সেই আইনের শাষণ বাংলাদেশে কায়েম হয় তাহলে ইনশাআল্লাহ আগামীর বাংলাদেশ আর পথ হারাবেনা। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ দারুল ইসলাম একাডেমি মাঠে আয়োজিত রোকন সম্মেলন ও সুধী সমাবেশের প্রথম ভাগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ তার মুক্তির যে পথে উঠেছে গন্তব্যে না পৌঁছা পর্যন্ত বাংলাদেশ চলতে থাকুক। কারো কোনও অপশক্তি যদি বাংলাদেশকে এই রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে চায় তাহলে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাত তাদের প্রতিহত করে দিবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, এসময় জাতীয় ঐক্যের বড়ই প্রয়োজন, জাতির মৌলিক ইস্যতে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সকল দল তার নিজস্ব জায়গা থেকে রাজনীতি করবে, তার বিবেকের তাড়নায় যা বলার দরকার বলবে, বর্তমান সরকারেরও প্রয়োজনীয় সমালোচনা করবে। আবার সাথে সাথে এই সরকার যেন সংস্কারের কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারে তার জন্য পর্যাপ্ত সহযোগিতাও দিবে। এভাবে ভারসাম্যপূর্ণ রাজনীতির মধ্যে দিয়ে সবাই এগিয়ে যাক। দল ও মত ভিন্ন থাকবে, এটিই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সবাই আমার মনের মতো পছন্দের কথা বলবেনা, এটা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। এজন্য সমালোচনা সহ্য করার মানসিকতাও আমাদের থাকতে হবে। যারা সমালোচনা করে তারাই তো আমাদের প্রকৃত বন্ধু। যারা আমার সমালোচনা করেনা, আমার ভুল দেখেও নীরব থাকে তারা আমার বন্ধু হতে পারেনা। আমরা সমালোচনাকে অভিনন্দন জানাই, উৎসাহ দিই। ভাব আপনার কিন্তু ভাষা যেন হয় সত্যের ওপরে প্রতিষ্ঠিত, তাহলে ভাব যাই হোক এই সমাজ ও আমরা প্রকৃত জিনিসটা খুঁজে নেব ইনশাআল্লাহ। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, এই সাড়ে ১৫ বছর আপনারাও স্বাধীন ছিলেন না। ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক আপনারাও মজলুম দলগুলোর বিরুদ্ধে কলম চালিয়েছেন, কথা বলেছেন। কারণ ভয়ে বা অন্যকোনো কারণে কিনা আমি তা বলতে পারব না। অনেকেই বলেন চাপের কাছে আমরা অসহায় ছিলাম, আর শাসকরা বার বার বলেছে মিডিয়া আমাদের স্বাধীন, কতটুকু স্বাধীন আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে সেই স্বাধীনতার ফল আমরা দেখতে পাইনি। এইজন্য আপনাদেরকে দায়ী করব না। আল্লাহ এখন আপনাদের কণ্ঠও মুক্ত করে দিয়েছেন, হাতের অদেখা বাধনও আল্লাহ খুলে দিয়েছেন। আপনাদের কাছে অনুরোধ করব, আপনারা যেন আপনাদের বিবেক অনুযায়ী এই পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে পারেন। এটি সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ, এটি হচ্ছে ভ্যানগার্ড। সকল পেশার মানুষ একদিক থেকে দেখে কিন্তু দুইটা পেশার মানুষ চারদিক থেকে দেখে। একটি যারা সমাজ পরিবর্তন করতে চান রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ও আরেকটি মিডিয়া। তারা ডান-বাম ও সামনে-পিছন থেকে দেখবেন। তারা হবেন অকুতোভয়, এজন্যই তাদেরকে বলা হয় জাতির বিবেক আর মিডিয়াকে বলা হয় জাতির দর্পন। এই জায়গাটি হারিয়ে গিয়েছিল, আবার সেটা মজবুতভাবে পূণ প্রতিষ্ঠা হোক আমরা সেই দোয়া করি।জামায়াত আমীর বলেন, তারা যুদ্ধের পর থেকেই মুক্তিযোদ্ধাসহ হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। তারা দেশকে যে কালো গহ্বরের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিল দেশ এখনো সেই গহ্বর থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। বিশেষ করে বিগত সাড়ে ১৫ বছর যারা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় ছিলেন তারা জাতিকে উন্নয়নের মহাসড়কে উঠিয়েছিলেন, বিশ্বে রোল মডেল বানিয়েছিলেন বলে নিজের মুখে বারবার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু কীসের বিনিময়ে, যাদের রক্তের বিনিময়ে, যাদের রক্ত চুষে নেওয়ার বিনিময়ে। মানুষের ইজ্জত লুন্ঠন করার বিনিময়ে, কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়া বিনিময়ে, সকল দলকে কোণঠাসা করে দিয়ে আবার একদলীয় বাকশাল কায়েম করার বিনিময়ে। এর কারণে জনগণের মনে ক্ষোভ, যন্ত্রণা, কষ্ট সেই ২০০৯সাল থেকে। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যাদের ওপরে সবচেয়ে বেশি জুলুম করা হয়েছে তার নাম জামায়াতে ইসলাম। একে একে প্রমাণ নয়, ক্রমিক অনুসারে ১ থেকে ১১ শীর্ষ দায়িত্বলীল নেতাদের জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে দুনিয়া থেকে বিদায় করা হয়েছে। ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, জেলের ভিতরে তিলে তিলে তাদেরকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। চেয়েছিল তারা প্রাণ ভিক্ষা চাক, কিন্তু তারা আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথানত করবননি। এর পাশাপাশি অন্যারের প্রতিবাদ যারাই করেছেন তাদের ওপরেই গোলাবারুদ নেমে এসেছে। আমরা অনেক আন্দোলন করার চেষ্টা করবছি সর্বশেষ ছাত্র-জনতার একটি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শেষ পর্যন্ত এই স্বৈরশাসকের বিদায় নিতে হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও জেলা জামায়াতের আমীর শাহীনুর আলমের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জামায়াত ইসলামের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন, অর্থ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, ঢাকা দক্ষিনের নায়েবে আমীর ড. হেলাল উদ্দিন, আবু তালেব মন্ডল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য প্রফেসর ড. মাওলানা আব্দুস সামাদ। এসময় জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।এমআর
সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে ২ জন কৃষক নিহত হয়েছে, এরা হলেন উপজেলার নাগরৌহা গ্রামের মোঃ আশরাফ আলী (৩২), রুহুল আমিন (৩৬)।শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়নের নাগরৌহা গ্রামের মাঠে কাজ করে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করে এই গ্রামের ছাত্র অধিকার পরিষদের সিরাজগঞ্জ জেলার যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মালেক জানান আশরাফ ও রুহুল আমিন মাঠে কাজ করার জন্য গেছিলেন। বৃষ্টি নামার পর বাড়ি ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। এমআর
বেলকুচিতে গ্লোবাল ডে অফ ক্লাইমেট অ্যাকশন উদযাপন
কমিউনিটি ভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি (সিআরইএ) প্রকল্পের অধীনে বেলকুচি উপজেলার বড়ধূল ইউনিয়নের চরাঞ্চলে 'গ্লোবাল ডে অফ ক্লাইমেট অ্যাকশন' ২০২৪ উপলক্ষে মানববন্ধন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এবং সুইডেন সরকারের আর্থিক সহায়তায় ও ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি) এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। দিবসটির এ বছরের উপজীব্য বিষয় হলো "জীবাশ্ম জ্বালানি মুক্ত ভবিষ্যতের জন্য লড়াই" করতে হবে।শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বেলকুচি উপজেলার বড়ধূল ইউনিয়নের বিলমহিষা এলাকায় কিশোর-কিশোরী, নারী-পুরুষ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্বলিত প্লে-কার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার হাতে মানববন্ধন ও র্যালি করে।এসময় উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি) এর প্রকল্প সমন্বয়কারী মোছা: আক্তারি বেগম, প্রকল্প কর্মকর্তা শারমিন আকতার, ফিল্ড ফেসিলেটর মোছা: রাজিয়া সুলতানা ও মোছা: আকলিমা খাতুন, এনডিপির রিসার্স এন্ড ডুকুমেন্টেশনের সহকারী ব্যবস্থাাপক মো: জানাফার ইসলাম, সাংবাদিক উজ্জ্বল অধিকারী প্রমূখ।অনুষ্ঠানে (সিআরইএ) প্রকল্পের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ক্লাইমেট একশন গ্রুপের সদস্য ও গ্রাম পর্যায়ের বিভিন্ন দলের সদস্য, নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন। বক্তারা দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, তাৎপর্য তুলে ধরেন। তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে চরাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা, বাড়িঘর, কৃষি ফসল, গবাদি পশু, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিনিয়ত প্রভাব পড়ছে। এখন ঘন ঘন ও অসময়ে বন্যা, বৃষ্টি ও খরা হচ্ছে। আগের মতো জমিতে ফসল হয় না। নদী ভাঙনের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকে ফসলী জমি ও বাস্তুভিটা হারিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষগুলো জীবিকা হারিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আর এসব কারণে নারীর প্রতি সহিংসতা ও বাল্য বিবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশুরা শিক্ষা ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে মেয়ে শিশুরা।বক্তারা এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ ও সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য সম্ভাব্য উপায় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোরালো দাবী জানান।এমআর
গুদাম থেকে সরকারি চাল উদ্ধার, চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জয়পুরহাটে সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে বরাদ্দের চাল অবৈধভাবে মজুদ করার দায়ে ইউপি চেয়ারম্যান, সচিবসহ ৯ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে আক্কেলপুর থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর বাজার এলাকা থেকে ১২৪টি ৫০ কেজির বস্তায় ৬.২ মেট্রিক টন চাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মুল্য ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৮০০ টাকা। মামলার আসামীরা হলেন, জেলার তিলকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম মাহামুদ সজল (৫০), ইউপি সচিব সাজেদুল ইসলাম (৪৪), ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ পিন্টু (৫২) ও বাদশা আলম (৫৫), রিতুল দাস (৫০), সাজেদুর রহমান বিপ্লব (৫২), রশিদুল ইসলাম (৪০), রনি (৩৮), আব্দুর রাজ্জাক ওরফে ঝোপেল মোল্লা (৫৫)। এদের মধ্যে রিতুল ও সাজেদুর গ্রেপ্তার হলেও অন্যরা পলাতক বলে জানা গেছে।মামলা সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুদ করে কালো বাজারে বিক্রি করতো তিলকপুর বাজারের ব্যবসায়ী রিতুল দাস ও সাজেদুর রহমান বিপ্লবরা । তারা ইউনিয়ন পর্যায়ে হতদরিদ্রের মাঝে বিতরনের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত চাল অবৈধ ভাবে মজুদ করত এবং সরকারি বস্তা পাল্টে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে মাছের ফিডের বস্তায় ৫০ কেজি ওজনের চালের বস্তায় রূপান্তরিত করে অধিক লাভের আশায় দেশের বিভিন্ন স্থানে কালো বাজারে বিক্রি/ও পাচার করে আসছিলো। আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) নয়ন হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুদ করে কালো বাজারে বিক্রির দায়ে ইউপি চেয়ারম্যান-সচিবসহ ৯জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এমআর
পবিত্র সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে পাবনায় বর্ণাঢ্য র্যালি সমাবেশ অনুষ্ঠিত
পবিত্র সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে পাবনায় বর্ণাঢ্য র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।এর আগে উপজেলা মডেল মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা জহুরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সহ-সভাপতি খান এ হাবিব মোস্তফা, সুজানগর উপজেলা জামায়াতের আমির হেসাব উদ্দিন, সেক্রেটারি টুটুল বিশ্বাস, পাবনা সদর উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুর রব, বেড়া উপজেলা জামায়াতের আমির আতাউর রহমান, পৌর জামায়াতের আমির ফারুক কি আজম, সুজানগর উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল মমিন প্রমুখ।বক্তারা বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন আদর্শ পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। বাংলাদেশে ইসলামি শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সংসদে কোরআনকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সেখানে জালেমদের স্থান হতে পারে না। স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর এখন সকল ধর্ম ও মতের মানুষ তাদের কথা স্বাধীনভাবে বলতে পারছে। এই গণতন্ত্রের ধারা, সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা অব্যাহত থাকবে। এজন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।এআই
ভারতে পাচারের সময় সুনামগঞ্জ সীমান্ত থেকে ইলিশ জব্দ
ভারতে পাচারের সময় সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার সীমান্ত এলাকা থেকে ৮৮৫ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করেছে বিজিবি। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে বিজিবির সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) গোপন সংবাদ পেয়ে এ মাছ জব্দ করে। জব্দকৃত ইলিশের আনুমানিক বাজার মূল্য ২২ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা।বিজিবি জানায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে বাংলা বাজার বিজিবি জানতে পারে উপজেলার সীমান্তবর্তী বাঁশতলা এলাকা দিয়ে ইলিশ মাছের একটি বড় চালান ভারতে পাচার হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাবাজার বিওপির টহলদল আনুমানিক রাত ৩টার দিকে ওই স্থানে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৮৮৫ কেজি বাংলাদেশি ইলিশ মাছ জব্দ করে। সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন,ভারতে পাচারের সময় ইলিশের এই চালানটি জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইলিশ মাছ স্থানীয় কাস্টমসে জমা করে কাস্টমস প্রতিনিধির উপস্থিতিতে নিলাম কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন,সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।এইচএ
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বজ্রাঘাতে দ্বীন ইসলাম (৬৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের সিরাজপুর চরপারা গ্রামে নিজ বাড়ির সামনে চারা ক্ষেতে বজ্রাঘাতে আক্রান্ত হন। তিনি ঐ গ্রামের মৃত সলতু মিয়ার ছেলে।ইউনিয়ন সদস্য কালাম হোসেন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বাড়ির সামনে চারা ক্ষেতে তিনি লাকড়ি শুকাতে দিয়েছিলেন। দুপুরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আসলে তিনি লাকড়ি গুলো আনতে গেলে ঝড়ের সাথে বজ্রপাত শুরু হয়। হঠাৎ করেই বজ্রপাত শরীরে পড়লে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা জান।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজুর রহমান জানিয়েছেন বজ্রাঘাতে নিহত কৃষককে আর্থিক সহায়তা করা হবে।
মসজিদের দান বক্সের টাকা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে মসজিদের দান বক্সের জমা টাকাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক লোকজন।শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর বানিয়াচং উপজেলার মজলিশপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর মজলিশপুর জামে মসজিদের সাবেক সভাপতি আনুয়ার মিয়া দান বক্সের টাকা নিতে গেলে মেম্বার মনসুর মিয়ার পক্ষের মুসল্লিরা বাধা দেন। এ নিয়ে মসজিদের ভেতরেই দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র, টেঁটা, বল্লম, রামদাসহ ইটপাটকেল নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। পরে সেনাবাহিনী-পুলিশের চেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আহতরা হলেন- মজলিশপুর গ্রামের মৃত আনফর উল্লার ছেলে শামীম মিয়া (৪২), একই গ্রামের হিরণ মিয়ার ছেলে রাশেদ মিয়া (৩০), রফিক মিয়ার ছেলে এনামুল মিয়া (৩০), রশিদ মিয়ার ছেলে ডালিম মিয়া (২৫), রহমান উল্লার ছেলে সাজু মিয়া (৩৫), আব্দুল হামিদ (৫০), মগল উল্লার ছেলে জুবেদ মিয়া (৬৫), জুবেদ মিয়ার ছেলে মনছুর মিয়া (৩৫), লাল মিয়ার ছেলে জিয়ায়ুর মিয়া (৩৪), বাচ্চু মিয়া (৫০), শবেকদর মিয়ার ছেলে রাকাত মিয়া (১৮), আলী আমজাদ মিয়ার ছেলে আকিবুর মিয়া (২০), লাল মিয়ার ছেলে আজাদ মিয়া (২২), জাহের আলির ছেলে আছকির মিয়াসহ (৩০) অনেকেই। তাদের সবাইকে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল, বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ফার্মেসিতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন যাবত মজলিশপুর গ্রামে নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছে। এনিয়ে একাধিকবার সালিশ-বৈঠকে মীমাংসা করা হয়েছে।এ বিষয়ে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, মসজিদে মোতাওয়াল্লির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এফএস
কারাগারে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান
সুনামগঞ্জে আটক সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ১০টায় সুনামগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফারহান সাদিক এর আদালত হাজির করা হলে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় জামিন ও রিমান্ড শুনানি হয়নি।এর পূর্ব বৃহস্পতিবার( ২০ সেপ্টেম্বর) রাত ১১ টার দিকে শান্তিগঞ্জ উপজেলার হিজলবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্ব সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। পরে তাকে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় পুলিশ হেফাজতে রেখে শুক্রবার সকালে আদালতে তুলা হয়।উল্লেখ্য,সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক তিন সাংসদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ৯৯ জন কে আসামি করে সুনামগঞ্জ আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়।সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর ভাই হাফিজ আলী বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক নির্জন মিত্রের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।আরইউ
সুনামগঞ্জে বিদেশী মদসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে র্যাব ২২৫ বোতল বিদেশী মদসহ আব্দুর রউফ (৪৫)নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে (র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব এলিট ফোস)। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে উপজেলায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯,সিপিসি-৩ সুনামগঞ্জের একটি আভিযানিক দল আটক করে। আটক রউফ উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক এর ছেলে।র্যাব-৯ সিলেট সহকারী পুলিশ সুপার মিডিয়া অফিসার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের পূর্বক আসামি ও জব্দকৃত আলামত বিশ্বম্ভরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে মাদক উদ্ধার, হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।এআই
অনলাইন ভোট
পাপনের পরিবর্তে নতুন সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া ফারুক আহমেদ কি পারবেন ক্রিকেটকে বদলে দিতে?
আন্তর্জাতিক
সব দেখুন
ভারতে ফ্রিজের ভেতর থেকে মিললো নারীর ৩০ টুকরা করা দেহ
ভারতের বেঙ্গালুরুর মল্লেশ্বরমের একটি ফ্ল্যাটের ভেতর ফ্রিজ থেকে মিললো এক নারীর টুকরা করা মরদেহ। ওই নারীর দেহকে ৩০ টুকরা করে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল ফ্রিজের মধ্যে। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি এক রুমের ফ্ল্যাট থেকে নারীর দেহাংশগুলো পাওয়া গিয়েছে। স্থানিয় সময় শনিবার ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশের একটি দল ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে দেহাংশগুলো উদ্ধার করে। পুলিশের অনুমান অনুযায়ী, প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগে তাকে খুন করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিহত নারীকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তবে, তদন্তের স্বার্থে এখনই সে সব তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না।এবি
যুক্তরাষ্ট্রে নৈশক্লাবে গোলাগুলি, নিহত ৪
যুক্তরাষ্ট্রের আলবামা অঙ্গরাজ্যে একটি নৈশক্লাবে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত চারজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। খবর সিএনএনের।পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বার্মিংহামের ফাইভ পয়েন্ট সাউথ এলাকায় একাধিক বন্দুকধারী একদল লোকের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। বার্মিংহাম পুলিশ বিভাগ সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেছে, ‘এই বন্দুক হামলায় সম্ভবত একাধিক ব্যক্তি জড়িত। পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।বার্মিংহামের পুলিশ অফিসার ট্রুম্যান ফিটজেরাল্ড বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুজন পুরুষ ও একজন নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ আরেকজনকে হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান। তিনি আরও জানান, বন্দুক হামলায় আহত কয়েক ডজন মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহতদের মধ্যে অন্তত চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।এদিকে তদন্তকারীরা বলেছেন, এ ঘটনায় তারা এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি। তাদের ধারণা, এই হামলায় পেছনে একাধিক বন্দুকধারী ছিলেন। তাদেরকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।এবি
ইরানের কয়লা খনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৩০
ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য খোরাসানে একটি কয়লা খনিতে গ্যাস বিস্ফোরণে অন্তত ৩০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৭ জন। অনেক শ্রমিক ভিতরে আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে এই খবর দিয়েছে আল জাজিরা।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী তেহরানের দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ৫৪০ কিলোমিটার দূরে তাবাসে একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণটি ঘটে। এতে বলা হয়েছে, শনিবার গভীর রাতে বিস্ফোরণের পর ওই এলাকায় জরুরি উদ্ধারকর্মী পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিস্ফোরণের সময় সেখানে প্রায় ৭০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন।এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, দেশটির মদনজু কোম্পানি পরিচালিত ওই খনির বি এবং সি ব্লকে মিথেন গ্যাস বিস্ফোরণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ইরান তেল উৎপাদনসহ বিভিন্ন ধরনের খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি বছরে প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন টন কয়লার চাহিদা রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১.৮ মিলিয়ন টন কয়লা নিজেরা উত্তোলন করে। ইরানের খনি শিল্পে বিস্ফোরণের এটাই প্রথম ঘটনা নয়। ২০১৩ সালে, দুটি পৃথক খনির ঘটনায় ১১ জন শ্রমিক নিহত হয়েছিল। ২০০৯ সালে বেশ কয়েকটি ঘটনায় ২০ জন শ্রমিক নিহত হয়। এছাড়া ২০১৭ সালে, কয়লা খনি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছিল।এবি
লেবাননে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলের ৪০০ হামলা
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) লেবাননে হিজবুল্লাহর বিভিন্ন লক্ষ্যে ৪০০ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। অপরদিকে ইসরায়েলের হাইফা শহরের কাছে রামাত ডেভিড ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। গাজায় সংঘাত শুরুর পর ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সংঘাতের ঘটনা। খবর আল জাজিরার।দক্ষিণ লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, কয়েক ডজন ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ইসরায়েলি নাগরিকদের বিরুদ্ধে হুমকি দূর করতে দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে।লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান শনিবার সন্ধ্যা থেকে দক্ষিণ লেবাননে বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে।ইসরায়েলের ভয়াবহ গণহত্যার নিন্দা জানিয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি। তিনি জানিয়েছেন, দেশের এমন পরিস্থিতিতে তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বার্ষিক সাধারণ পরিষদে তার সফর বাতিল করেছেন।এদিকে নিজ দেশের নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর শনিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান জানানো হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সহিংসতা তীব্র আকার ধারণ করেছে। সে কারণেই মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করেছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। খবর এএফপির।এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে এবং বৈরুতসহ লেবাননজুড়ে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের কারণে মার্কিন দূতাবাস নিজ দেশের নাগরিকদের লেবানন ছেড়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে।বাণিজ্যিক ফ্লাইট এখনও চলাচল করছে তবে সংখ্যা কিছুটা কম। নিরাপত্তা পরিস্থিতি খারাপ হলে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকতে পারে। সেকারণে যত দ্রুত সম্ভব নিজ দেশের নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।এবি
আল জাজিরার অফিসে ইসরায়েলি সৈন্যদের হানা, বন্ধের নির্দেশ
অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লাতে অবস্থিত আল জাজিরার অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে আগামী ৪৫ দিন অফিস বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়। ভারী অস্ত্র নিয়ে মুখোশধারী ইসরায়েলি সৈন্যরা আল জাজিরার অফিসে প্রবেশ করে এবং পশ্চিম তীরের ব্যুরো চিফ ওয়ালিদ আল ওমরির কাছে রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে অফিস বন্ধের আদেশ হস্তান্তর করেন। এদিকে দখলকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় আল জাজিরা অফিসের চারপাশে গুলি ও টিয়ারগ্যাসের শব্দ অব্যাহত রয়েছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা অভিযান চালিয়ে ব্যুরোটি বন্ধ করে দেওয়ার পরে। তবে কী কারণে অফিস বন্ধ করা হচ্ছে সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি। আল জাজিরার আরবি সংস্করণে লাইভ সম্প্রচারে দেখানো হয়, একজন ইসরায়েলি সেনা আল ওমরিকে বলেন, ৪৫ দিনের জন্য অফিস বন্ধে আদালতের নির্দেশ রয়েছে। ওই সেনা আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে সব ক্যামেরা নিয়ে এখান থেকে চলে যান।’ গত মে মাসে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আল জাজিরার সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে দেশটির সরকার। এরপরই রবিবার অফিসে অভিযান চালানোর ঘটনা ঘটে। টেলিফোনে পশ্চিম তীর থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক নাদি ইব্রাহিম বলেন, ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রতিবেদন না করতে দেয়া এবং অফিস বন্ধের নির্দেশ আশ্চর্যের কোনো বিষয় নয়। ইব্রাহিম বলেন, ব্যুরো অফিস বন্ধ করার জন্য আমাদের আগেই হুমকি দেয়া হয়েছিল। আমরা শুনেছি এটা ইসরায়েলি সরকারের সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেটি যে আজকেই ঘটবে তা প্রত্যাশার ছিল না। এদিকে গাজা যুদ্ধের মধ্যে ফিলিস্তিনি রিপোর্টারদের ওপর ইসরায়েলি সরকারের নিষেধাজ্ঞা এবং হামলার বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছে মিডিয়া অধিকার গোষ্ঠী। গত বছরের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হলে এ পর্যন্ত ১৭৩ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। এবি
বাংলাদেশের ইলিশ পাঠানোর ঘোষণায় খুশির জোয়ার পশ্চিমবঙ্গে
সব হতাশা দূর করে দুর্গাপূজার আগেই পশ্চিমবঙ্গে বাঙালির পাতে পৌঁছাতে চলেছে পদ্মার রুপালি ইলিশ। কারণ, দীর্ঘদিন ‘না, না’ বলার পরে অবশেষে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।এবারের দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা ঘোষণা দিয়েছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৬ অথবা ২৭ সেপ্টেম্বর থেকেই পদ্মার ইলিশের স্বাদ নিতে পারবেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরা।ভারতের ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করেছিলাম, পূজা উপলক্ষে আমাদের যেন ইলিশ মাছ দেয়। কিন্তু আমরা অনেক হতাশাজনক খবর পাচ্ছিলাম হয়তো এ বছর পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ আসবে না।তিনি বলেন, শনিবার অবশেষে সুখবর পেলাম, বাংলাদেশ সরকার তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ দেবে। বাংলাদেশ সরকার যে নির্দেশিকা জারি করেছে, সেই নির্দেশিকা আমাদেরও পাঠিয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকেই পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের ইলিশ মাছ আসা শুরু করবে।কতদিন ধরে ইলিশ আসবে সে প্রসঙ্গে আনোয়ার মাকসুদ বলেন, এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ২২ অক্টোবর থেকে সাধারণত বাংলাদেশে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকে। কিন্তু এবার অনেক দেরি করে ফেলেছি। বাংলাদেশ সরকার কতদিনে এই তিন হাজার টন মাছ দেবে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানি না।বাংলাদেশের ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে আসার পর দাম কেমন হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও এখন পর্যন্ত ইলিশের দাম হাজার রুপির মধ্যে আনতে পারিনি। আশা করি, পূজার সময় এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম পাইকারি বাজারে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ রুপি থাকবে।পূজার মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসায় এপার বাংলার মানুষ যারপরনাই খুশি। এই বিষয়ে হাওড়া ফিস মার্কেটের একজন কর্মচারী শেখ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসায় আমরা খুব খুশি। কলকাতার বাজারে এমনিতেই ইলিশ কম, তার ওপর দাম থাকে বেশি। বাংলাদেশের ইলিশ আসলে দামটা একটু কমবে। স্বভাবতই এপার বাংলার মানুষ পদ্মার ইলিশ আসার খবরে খুশি।এসএফ
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের দুর্ধর্ষ সব অভিযান
যোগাযোগের তারহীন যন্ত্র পেজার-সহ অন্যান্য যে যন্ত্র ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ সদস্যরা ‘তাৎপর্যপূর্ণভাবে’ সেগুলোকেই পরিণত করা হয়েছে বিস্ফোরক ডিভাইসে। ইসরায়েলের অত্যাধুনিক নজরদারি এড়িয়ে যোগাযোগের জন্য এই যন্ত্রই ব্যবহার করেন হিজবুল্লাহর সদস্যরা।সেই যন্ত্রই ব্যবহারকারীদের হাতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লেবাননে হত্যা করা হয়েছে বহু মানুষকে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। লেবাননের সরকার ইসরায়েলকে এই আক্রমণের জন্য দায়ী করেছে। লেবানন এই ঘটনাকে ‘ইসরায়েলের অপরাধমূলক আগ্রাসনের’ আখ্যা দিলেও হিজবুল্লাহর পাল্টা দাবি এই হামলা ‘ন্যায্য প্রতিশোধ’।ইসরায়েলের পক্ষ থেকে লেবাননের ঘটনা সম্পর্কে এখনও কোনও মন্তব্য আসেনি। কিছু ইসরায়েলি গণমাধ্যমে অবশ্য বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভার তরফে সে দেশের মন্ত্রীদের বার্তা দেওয়া হয়েছে তারা যাতে ওই ঘটনা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য না করেন।ইসরায়েল হিজবুল্লাহর সমস্ত গতিবিধির ওপর নজর রাখে। যা ইঙ্গিত দেয়, এই অভিযান দুই পক্ষের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের অংশ হতে পারে। এখন যদি এই ঘটনায় ইসরায়েল সত্যিই দায়ী হয়, তবে এটা তাদের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক এবং প্রভাবশালী অভিযানের একটি। একই সঙ্গে এই অভিযান ইসরায়েল এবং সে দেশের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের অতীতের অভিযানের স্মৃতিকেও স্মরণ করিয়ে দেয়।• মোসাদের সফলতামোসাদ একাধিক সফল অভিযান করেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কয়েকটা অভিযান দেখে নেওয়া যাক-• নাৎসি অফিসার অ্যাডলফ আইকম্যানের অপহরণ১৯৬০ সালে আর্জেন্টিনা থেকে নাৎসি অফিসার অ্যাডলফ আইকম্যানের অপহরণ মোসাদের বড় সাফল্যের মধ্যে একটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি প্রায় ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করেছিল। অ্যাডলফ আইকম্যান ‘হলোকাস্ট’র মূল স্থপতিদের একজন ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে ইহুদিদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ছিল।ধরা পড়ার সম্ভাবনা এড়াতে বেশ কয়েকটা দেশে থাকার পর শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনায় বসতি স্থাপন করেন আইকম্যান। কিন্তু ১৪ জন মোসাদ এজেন্টের একটা দল তাকে খুঁজে বের করে অপহরণ করে। তারপর তাকে ইসরায়েলে নিয়ে আসা হয় যেখানে তার বিচার হয় এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়।• এন্টাবি অভিযানউগান্ডায় এন্টাবি অভিযানকে ইসরায়েলের সবচেয়ে সফল সামরিক অভিযান হিসেবে গণ্য করা হয়। এই অভিযানে গোয়েন্দা তথ্য প্রদান করেছিল গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। আর অভিযান চালিয়েছিল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।তেল আবিব থেকে এথেন্স হয়ে প্যারিসগামী এক বিমান থেকে ইসরায়েলি কমান্ডো বাহিনী সফলভাবে ১০০ জন জিম্মিকে উদ্ধার করেছিল। ওই বিমানে বিমানটিতে ১০৩ জন ইসরায়েলিসহ প্রায় ২৫০ যাত্রী ছিলেন।যারা বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন তাদের মধ্যে ‘পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইনের’ দুই সদস্য এবং তাদের দুই জার্মান সহযোগী ছিলেন। তারা ওই বিমান উগান্ডায় নিয়ে গিয়েছিলেন। জিম্মিদের উদ্ধার করতে ইসরায়েল অভিযান চালায়।এই ঘটনায় তিনজন জিম্মি, বিমানের হাইজ্যাকাররা, বেশ কয়েকজন উগান্ডার সৈন্য এবং ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ভাই ইয়োনাতান নেতানিয়াহুর মৃত্যু হয়েছিল।• অপারেশন ব্রাদার্স১৯৮০-র দশকের গোড়ার দিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মেনাহেম বেগিনের নির্দেশে মোসাদ এক অভিনব পন্থায় নকল ডাইভিং রিসোর্টের আড়ালে সুদান হয়ে ৭ হাজারেরও বেশি ইথিওপিয়ান ইহুদিকে ইসরায়েলে পাচার করেছিল।শত্রু ‘আরব লিগের’ অন্তর্গত দেশ সুদান। তাই সেখানে গোপনে কাজ করে মোসাদের এজেন্টদের একটা দল সুদানের লোহিত সাগর উপকূলে একটি রিসোর্ট স্থাপন করেছিল। এই রিসোর্টকে তারা গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করত।দিনের বেলায় ওই এজেন্টরা হোটেলের কর্মীর ছদ্মবেশ ধারণ করে কাজ করতেন। রাতে প্রতিবেশী ইথিওপিয়া থেকে গোপনে পায়ে হেঁটে আসা ইহুদিদের পাচার করতেন মোসাদ এজেন্টরা। তাদের আকাশ বা সমুদ্রপথে দেশের বাইরে পাঠানো হতো ইথিওপিয়ান ইহুদিদের। এই অভিযান কমপক্ষে পাঁচ বছর ধরে চলেছিল। পরে যখন এই তথ্য প্রকাশ্যে আসে তখন সুদান ছেড়ে পালিয়ে যান মোসাদ এজেন্টরা।• মিউনিখ অলিম্পিকস অপহরণ১৯৭২ সালে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর’ মিউনিখ অলিম্পকসে অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি দলের দুই সদস্যকে হত্যা করে এবং অন্য নয়জনকে বন্দী করে। পশ্চিম জার্মান পুলিশের তরফে ওই জিম্মিদের ব্যর্থ উদ্ধারের চেষ্টার পর তাদের (জিম্মিদের) হত্যা করা হয়।এরপর, মোসাদ ‘প্যালেস্টিনিয়ান লিবারেশন অর্গানাইজেশনের’ একাধিক সদস্যকে নিশানা করে। এই তালিকায় মাহমুদ হামশারিও ছিলেন। মাহমুদ হামশারির প্যারিসের অ্যাপার্টমেন্টের ফোনে বিস্ফোরক লাগানো হয়েছিল। যার ফলে গুরুতর আহত হন তিনি। বিস্ফোরণে এক পা হারিয়েছিলেন তিনি এবং শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যুও হয়।• ইয়াহিয়া আয়াশ১৯৯৬ সালে এই রকমই এক অভিযান চালানো হয়েছিল হামাসের বোমা প্রস্তুতকারককে হত্যা করতে। ইয়াহিয়া আয়াশ নামে ওই বোমা প্রস্তুতকারককে হত্যা করা হয়েছিল একটা মটোরোলা আলফা মোবাইল ফোনে বিস্ফোরক ঢুকিয়ে। ৫০ গ্রাম বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল ওই মোবাইল ফোনে।হামাসের সামরিক শাখার একজন অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন ইয়াহিয়া আয়াশ। বোমা তৈরিতে এবং ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে জটিল আক্রমণ পরিচালনায় দক্ষতার জন্য পরিচিতি ছিল তার।এই দক্ষতার কারণে ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থার জন্য সে দেশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’র তালিকায় নামও ছিল। ক্রমে ইসরায়েলের প্রধান নিশানা হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৯ সালের শেষের দিকে, ইসরায়েল হত্যার কিছু বিবরণের ওপর থেকে সেন্সরশিপ তুলে নেয় এবং ‘চ্যানেল ১৩ টিভি’ ইয়াহিয়া আয়াশের সঙ্গে ফোনে তার বাবার শেষ কথোপকথনের একটা রেকর্ডিং সম্প্রচার করে।মাহমুদ হামশারি এবং ইয়াহিয়া আয়াশ দু’জনের হত্যাকাণ্ডই ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে মারার জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের এক দীর্ঘ এবং জটিল ইতিহাসকে তুলে ধরে।• মাহমুদ আল-মাভুহ : শ্বাসরোধ করে হত্যা২০১০ সালে হামাসের সিনিয়র সামরিক নেতা মাহমুদ আল-মাভুহকে দুবাইয়ের একটা হোটেলে হত্যা করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু দুবাই পুলিশ শেষপর্যন্ত ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করা নজরদারি ফুটেজ পরীক্ষা করে হত্যাকারী দলকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল।পরে পুলিশের তরফে জানানো হয়, আল-মাভুহকে প্রথমে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে এবং তারপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল। এই অভিযানের পেছনে মোসাদ ছিল বলে সন্দেহ করা হয়। এর ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের তরফে কূটনৈতিক স্তরে ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল।ইসরায়েলি কূটনীতিকরা অবশ্য দাবি করেন এমন কোনও তথ্য প্রমাণ নেই যা ঘটনাটির সঙ্গে মোসদকে জুড়তে পারে। যদিও ঘটনার সঙ্গে ‘জড়িয়ে থাকার’ বিষয়টি অস্বীকারও করেনি তারা। ইসরায়েলের অবস্থান এ জাতীয় ঘটনায় তাদের ‘অস্পষ্টতা’ বজায় রাখার যে নীতি রয়েছে তার সঙ্গে একেবারে সামঞ্জস্যপূর্ণ।• মোসাদের ব্যর্থতামোসাদের ঝুলিতে অসংখ্য সফল অভিযান যেমন আছে, তেমনই রয়েছে একাধিক ব্যর্থতাও। তারই কয়েকটা উল্লেখ করা হলো -• খালেদ মেশালইসরায়েলের এই ব্যর্থ অভিযানগুলোর তালিকায় রয়েছে হামাসের রাজনৈতিক নেতা খালেদ মেশালকে হত্যার চেষ্টা; যা একটা বড় কূটনৈতিক সঙ্কটের সৃষ্টি করেছিল। ১৯৯৭ সালে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান খালেদ মেশালকে জর্ডানে বিষ ব্যবহার করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।ইসরায়েলি এজেন্টরা ধরা পড়ে যাওয়ায় এই অভিযান ব্যর্থ হয়। এরপর খালেদ মেশালের জীবন বাঁচানোর জন্য প্রতিষেধক সরবরাহ করতে বাধ্য করা হয় ইসরায়েলকে। মোসাদের তৎকালীন প্রধান ড্যানি ইয়াটম তার (খালেদ মেশালের) চিকিৎসার জন্য জর্ডানে যান।এই হত্যার ব্যর্থ চেষ্টার উল্লেখযোগ্য প্রভাব দেখা গিয়েছিল জর্ডান ও ইসরায়েলের সম্পর্কে।• হামাস নেতা মাহমুদ আল-জাহার২০০৩ সালে ইসরায়েল গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছিল হামাস নেতা মাহমুদ আল-জাহারের বাড়ি লক্ষ্য করে। এই হামলা থেকে আল-জাহার রক্ষা পেলেও তার স্ত্রী ও ছেলে খালেদসহ আরও কয়েকজন নিহত হন। তার বাসভবনকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছিল ওই বিমান হামলা।ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সামরিক অভিযানের গুরুতর প্রভাবকে তুলে ধরেছিল এই আক্রমণ।• লাভন অ্যাফেয়ার১৯৫৪ সালে মিসরীয় কর্তৃপক্ষ ‘অপারেশন সুসানাহ’ নামে এক ইসরায়েলি গুপ্ত অভিযানকে বানচাল করে দেয়। যে পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায় তা ছিল মিসরে মার্কিন ও ব্রিটিশ স্থাপনায় বোমা ফেলার। এই অভিযানের পেছনে ইসরায়েলের উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাজ্যকে চাপ দেওয়া যাতে তারা সুয়েজ খালে অবস্থানরত বাহিনী বজায় রাখে।এই ঘটনা ‘লাভন অ্যাফেয়ার’ নামে পরিচিতি পায়। ইসরায়েলের তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিনহাস লাভনের নামের অনুকরণে নামকরণ করা হয়েছিল। অভিযানের পরিকল্পনার সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন বলে মনে করা হয়।মোসাদকেও বিপর্যয়মূলক গোয়েন্দা ব্যর্থতার জন্য দায়ী করা হয়।• ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধ১৯৭৩ সালের ৬ অক্টোবর মিসর ও সিরিয়া সিনাই উপদ্বীপ এবং গোলান মালভূমি পুনরুদ্ধার করতে ইসরায়েলের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়।আক্রমণের সময় হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল ইহুদিদের প্রায়শ্চিত্তের দিন ইয়োম কিপ্পুরকে। যে কারণে যুদ্ধের প্রাথমিক দিনগুলোতে ইসরায়েল প্রস্তুত ছিল না।মিসর ও সিরিয়া দুই ফ্রন্টে ইসরায়েলকে আক্রমণ করে। মিসরীয় বাহিনী সুয়েজ খাল অতিক্রম করে। প্রত্যাশিত হতাহতের মাত্র একটা অংশই তাদের আক্রমণের দ্বারা প্রভাবিত হয়। অন্যদিকে সিরিয়ার বাহিনী ইসরায়েলি অবস্থানে আক্রমণ করে এবং গোলান মালভূমিতে প্রবেশ করে।সোভিয়েত ইউনিয়ন সিরিয়া এবং মিসরকে এই আক্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করেছিল। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে একটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থার জোগান দিয়েছিল।ইসরায়েল ওই বাহিনীকে প্রত্যাহার করতে সক্ষম হয়েছিল। যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য জাতিসংঘের তরফে প্রস্তাব দেওয়ার চারদিন পর ২৫ অক্টোবর যুদ্ধ শেষ হয়।• ৭ অক্টোবর ২০২৩-এর হামলাইয়োম কিপ্পুর হামলার প্রায় ৫০ বছর পর গত বছর আকস্মিক আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল ইসরায়েলকে। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা সীমান্তের কাছে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস।এই আক্রমণের বিষয়ে সতর্ক না করতে পারার বিষয়কে মোসাদের একটা বড় ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্লেষকদের মতে, হামাসের প্রতি ইসরায়েলের প্রতিরোধ নীতির দুর্বলতাকে প্রতিফলিত করে।ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অক্টোবরের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন; যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। এছাড়াও আরও ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।হামাসের আক্রমণের জবাবে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় একটি যুদ্ধ শুরু করে, যার ফলে ৪০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আর এই ফিলিস্তিনিদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। বিবিসি বাংলা।এসএফ
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের শায়েস্তা করা হবে: অমিত শাহ
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে শায়েস্তা করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলায় পরিবর্তন যাত্রার উদ্বোধন উপলক্ষে এক সমাবেশের এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। খবর, টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া’র।অমিত শাহ বলেন, আমি আপনাদের সবাইকে ঝাড়খণ্ডে বিজেপি সরকার গঠনের আবেদন জানাতে চাই। আমরা প্রতিটি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করব। আমি ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যে, এটি বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে এবং কেন্দ্র শিগগিরিই এই তদন্তে ঝাড়খণ্ড সরকারের সহায়তায় একটি কমিটি গঠন করবে।উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতারা সাঁওতাল পরগণায় উপজাতীয় জনসংখ্যার হ্রাস এবং ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এবার অমিত শাহও তাদের বক্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি করলেন।এসএফ
এক বছর ধরে মণিপুর জ্বলছে, মোদি কী করেছেন? প্রশ্ন ওয়াইসির
সর্বভারতীয় মসলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজ দেশে সংঘাতে জর্জরিত মণিপুর রাজ্যে যাচ্ছেন না। কিন্তু তিনিই আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছেন।দলটির একটি অনুষ্ঠানে ধর্মীয় এই নেতা জানিয়েছেন, মোদি কেন মণিপুরে যাচ্ছেন না সেটি তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি মোদির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, গত এক বছর ধরে মণিপুর জ্বলছে। তিনি এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের জন্য কী করেছেন।ওয়াইসি বলেছেন, “আমাদের মোদিজি, তিনি কী করেছেন? মণিপুর প্রায় এক বছর ধরে জ্বলছে। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শককে পুতিনের কাছে, জেলেনস্কির কাছে পাঠিয়েছেন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য। কিন্তু ঘরেই তো আগুন জ্বলছে। এটি বন্ধ করুন। ঘরে আগুন লেগেছে কিন্তু এ নিয়ে কোনো চিন্তা নাই!”কয়েকদিন আগে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। ওই সময় তিনি দুইজনকেই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান।মোদি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা করলেও তার নিজ দেশের মণিপুর রাজ্যে যাচ্ছেন না। যেখানে গত এক বছর ধরে মেতিইস এবং কুকি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত চলছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এত মানুষের মৃত্যুর পরও মোদি কেন সেখানে যাননি এ প্রশ্নই তুলেছেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডএসএফ
টেলিগ্রাম ব্যবহার নিষিদ্ধ করল ইউক্রেন
নিরাপত্তার স্বার্থে রাশিয়ান জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রাম অ্যাপ নিজেদের বাহিনী এবং সরকারি কর্মীদের অফিসিয়াল ডিভাইসে ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে ইউক্রেন। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ডিফেন্স সার্ভিস এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। খবর বিবিসিসংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে ইউক্রেনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ডিফেন্স কাউন্সিল তাদের সামরিক কর্মী এবং বেসামরিক কর্মচারীদের অফিসিয়াল ডিভাইসে টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে। নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রেস সার্ভিস তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, জাতীয় সাইবার সিকিউরিটি কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তা কাউন্সিলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি কর্মকর্তা, সামরিক কর্মী, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাকর্মী এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো অপারেটরদের অফিসিয়াল ডিভাইসে টেলিগ্রাম ইনস্টল এবং ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।’ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ফিশিং ও সাইবার হামলার জন্য রাশিয়া টেলিগ্রাম অ্যাপকে কাজে লাগাচ্ছে। এ ছাড়া এই অ্যাপ ব্যবহার করে তারা বিমান হামলা সামঞ্জস্য করার জন্য ব্যবহারকারীর ভূ-অবস্থান ডেটা সংগ্রহ করছে। রাশিয়ান গোয়েন্দা সংস্থার কাছে টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের মেসেজ ও ডেটার অ্যাকসেস রয়েছে বলেও দাবি করেছেন ইউক্রেনের গোয়েন্দারা। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেন-উভয় দেশে টেলিগ্রাম অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি অ্যাপ। দেশ দুটির বেশির ভাগ মানুষই টেলিগ্রাম ব্যবহার করেন।ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধান কিরিলো বুদানভ বলেন, টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত চিঠিপত্র এমনকি মুছে ফেলা বার্তাগুলোতেও রুশ গোয়েন্দাদের অ্যাক্সেস রয়েছে। এ কারণে এটি ব্যবহার করা আমাদের জন্য বিপজ্জনক। কিরিলো বুদানভ আরও বলেন, ‘আমি সবসময় বাক স্বাধীনতাকে সমর্থন করি। কিন্তু টেলিগ্রাম এখন আর শুধু বাক স্বাধীনতার বিষয়ের মধ্যে নেই। এটি এখন জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়।’এবি
বিনোদন
সব দেখুন
আদালতে নায়িকা পরীমনি
আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি। মারধর, বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় সাক্ষ্য দিতে রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহানা হক সিদ্দিকার আদালতে হাজির হন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। মামলার আসামিরা হলেন- নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম।২০২২ সালের ১৮ মে তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই বছরের ২৯ নভেম্বর পরীমনির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মামলায় নাসির, অমি এবং শহিদুল আলমকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন।২০২১ সালের ১৪ জুন সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন ও অমির নাম উল্লেখ করে ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। মামলা দায়েরের পর অভিযানে নামে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওইদিনই নাসির উদ্দিনসহ পাঁচ জনকে উত্তরার একটি বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। অভিযানে ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ-বিয়ার ও ইয়াবা জব্দ করা হয়।এমএইচ
পরীমণি আউট, সারিকা ইন
'মায়া' শিরোনামের একটি ওয়েব সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। এতে নামভূমিকায় থাকছেন পরীমনি। গত বছর এমন খবর এসেছিল। তবে পাল্টে গেছে হিসাব-নিকাশ। 'মায়া' আসছে ঠিকই। থাকছেন না পরীমনি। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সারিকা সাবরিন। তার বিপরীতে আছেন মামনুন ইমন। এই সিনেমার মাধ্যমে ওটিটিতে নাম লিখিয়েছেন ইমন।আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তি ওটিটি মাধ্যম বিঞ্জে মুক্তি পাবে মায়া। গত বুধবার প্রকাশ পেয়েছে এর টিজার। ৪০ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে হঠাৎ নিখোঁজ হওয়া স্বামীকে খুঁজে বেড়াচ্ছে সারিকা। স্বামীর সন্ধান পেতে থানায় যায় সে। পুলিশ কর্মকর্তা তাকে পাল্টা প্রশ্ন করে, কেন তার স্বামী নিখোঁজ হলো। একটি দৃশ্যে দেখা যায়, ইমনকে জোর করে তোলা হচ্ছে পুলিশ ভ্যানে। স্বামী ছাড়া নারীদের যে ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হয়, তা-ই ফুটে উঠেছে টিজারে।সারিকা বলেন, 'মায়া' নির্মিত হয়েছে একটি পরিবারের টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে। এতে আমার চরিত্রের নাম মায়া। এমন একটি চরিত্র মায়া, যার সঙ্গে প্রতিটি মেয়ে নিজের মিল খুঁজে পাবে। পর্দায় দর্শক যেন আমাকে দেখে সারিকা নয়, মায়া মনে করে- সেই চেষ্টা করেছি। শুটিং শুরুর আগে এক মাস রিহার্সাল করেছি। চরিত্রটি আয়ত্তে আনার জন্য সর্বোচ্চ পরিশ্রম করেছি। শুধু আমি নই, দর্শকদের একটি ভালো কাজ উপহার দেওয়ার জন্য পরিচালক থেকে শুরু করে ইউনিটের সবাই অনেক কষ্ট করেছেন।ইমন বলেন, কয়েক বছর ধরেই অনেকে আমার কাছে জানতে চাইছিলেন, কবে আমাকে ওটিটিতে দেখা যাবে। আমি চেয়েছি ওটিটিতে যখন কাজ করব, সেটা যেন স্পেশাল কিছু হয়। নিজের চাওয়া অনুযায়ী ওটিটিতে যাত্রা শুরু করতে পেরে ভালো লাগছে। মায়ার গল্প দর্শকের মনে দাগ কাটবে। কিছু গল্প থাকে যেখানে কাজ করার স্বপ্ন থাকে অভিনয়শিল্পীদের। মায়ার গল্পটি আমার কাছে তেমন। আশা করছি, এই সিনেমায় আমাকে ভিন্নভাবে দেখবে দর্শক।রাফী বলেন, আমি যে রকম গল্প নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি, মায়া সিনেমাটিও তেমন। পরিবার ও সম্পর্কের গল্প। সিনেমাটি দেখার পর দর্শক এক মায়ায় জড়িয়ে যাবেন।
হৃদয়স্পর্শী নৃশংস গল্পের সিনেমায় মিম
গত বছর বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে 'আমি ইয়াসমিন বলছি' শিরোনামের চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন তরুণ নির্মাতা সুমন ধর। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করবেন মিম।জানা গেছে, ছবিটির শুটিং শিগগিরই শুরু হবে। ছবিটির কাহিনী ইয়াসমিন আক্তার নামের এক কিশোরীকে ঘিরেই।১৯৯৫ সালের ২৩ আগস্ট রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি বাসে করে দিনাজপুরের দশমাইল মোড় এলাকায় নামেন ইয়াসমিন। তার বয়স ছিল আনুমানিক ১৬ বছর। ওই এলাকায় একটি পানের দোকানের সামনে তিনি অপেক্ষা করছিলেন দিনাজপুরগামী বাসের জন্য। সে সময় টহল পুলিশের একটি ভ্যান আসে এবং একপ্রকার জোর করেই তাকে দিনাজপুরে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে কিশোরীটির মরদেহ পাওয়া যায় গোবিন্দপুর নামক জায়গায়। ওই ঘটনায় দিনাজপুরের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, আউটডোরে শুটিং করার মতো অবস্থা এখনও আসেনি। 'আমি ইয়াসমিন বলছি'র কাজ দিনাজপুর ও ঢাকার আউটডোরে হবে। এখন সবকিছু গুছিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পরিবেশ অনুকূলে আসা মাত্র শুটিং শুরু হবে।ছবিটি প্রসঙ্গে মিম জানিয়েছিলেন, 'এই সিনেমার গল্পটা পড়ে কেঁদে ফেলেছিলাম আমি। এমন হৃদয়স্পর্শী, নৃশংস ঘটনা। সে জন্যই এতে যুক্ত হওয়া।'এদিকে মিম অভিনীত 'দিগন্তে ফুলের আগুন' সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। ছবিটি পরিচালনা করছেন ওয়াহিদ তারেক। এই সিনেমায় পান্না কায়সার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিম।
ফেসবুক লাইভে ‘গোপন তথ্য’ ফাঁস করলেন ইলিয়াস কাঞ্চন
১৯৭৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর ‘বসুন্ধরা’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। সুভাষ দত্তের সেই সিনেমা দিয়ে নায়ক হিসেবে আগমন ঘটে নন্দিত অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের। ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন তখনকার মোস্ট গ্ল্যামারাস নায়িকা ববিতা। দীর্ঘদিনের গোপন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফাঁস করলেন নব্বইয়ের দশকের ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার পর ভক্তদের সঙ্গে নিজের বেশকটি গোপন তথ্য শেয়ার করেন অভিনেতা। প্রথমেই ইলিয়াস কাঞ্চন ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, ব্যস্ততার কারণে অনেক দিন ধরে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারছি না, ভালো লাগছিল না। আগামীকাল (শুক্রবার) যেহেতু ছুটির দিন, তাই বৃহস্পতিবার দেরি করে ঘুমালেও ক্ষতি নেই। তাই ফেসবুক লাইভে চলে আসলাম। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি আমার জীবনের কিছু মজার ঘটনা ও দুর্বলতা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব, যার মধ্যে অন্যতম একটি আমার আঙুল। ছোটবেলায় আমার আঙুল দুটো পুড়ে গিয়েছিল। কিন্তু শুধু পুড়ে যাওয়ার কারণে আমার আঙুল দুটোর এতো ক্ষতি হয়নি। এর পেছনে রয়েছে আরেকটি কারণ।’ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে ইলয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমার বাবারা সাত ভাই ছিলেন। আমার বাবা ছিলেন চার নম্বর। আমি তখন হামাগড়ি দিয়ে চলি। তখন বাবার ৫ নম্বর ভাই বিয়ে করেন।’‘আমার মা, বাবাদের কাছে শুনি, সে সময় গরম চুলায় আমি হাত দিয়ে দুটি আঙুল পুড়িয়ে ফেলেছিলাম। তখন ঘরে এসেছে বাবার ভাইয়ের নতুন বউ। তিনি বড় ঘোমটা পরে বাড়িতে হাঁটতেন। একদিন আমি পোড়া আঙুল দিয়ে হামাগুড়ি দিচ্ছিলাম আর উনিও বড় ঘোমটা দিয়ে হাঁটছিলেন। তারপর যা হলো তার পা আমার পোড়া আঙুলের মধ্যে পড়ল। এতে আমার আঙুল দুটো আরও থেতলে গেল। বড়রা বলেছিল, ওই সময় চাচির পায়ের চাপা খাওয়ায় আমার পোড়া নরম আঙুল চাচির পায়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ লেগেছিল। এরপর থেকেই এ খুঁত সিঙ্গে নিয়েই আমি বড় হয়েছি,’ যোগ করেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। অভিনেতা হিসেবে সিনেমার ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘অল্পবয়সে যখন নায়ক ছিলাম, তখন অনেক সতর্ক হয়ে কাজ করেছি। যেন পর্দায় আমার এ দুর্বলতা কখনও দেখা না যায়। তবে এখন আমি সে গোপন কথাটা বলছি। কারণ এখন তো আর আমি নায়ক নই।’এরপর একটু হেসেই ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘শুনেছি বলিউডের জনপ্রিয় হৃতিক রোশনেরও আঙুলের সমস্যা রয়েছে। তার এক হাতে ৫ আঙুলের জায়গায় ৬ আঙুল। তিনিও পর্দায় এ সমস্যা ভক্তদের কাছে আড়াল করেন সতর্কভাবেই। কারণ ভক্তরা নায়কদের পারফেক্ট দেখতেই অভ্যস্ত। নায়কের দুর্বলতা তাদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে এতদিন পরে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজের এ দুর্বলতা আমি শেয়ার করলাম, কারণ এখন না বললে হয়তো কখনই আর এ মজার ঘটনা কিংবা নিজের দুর্বলতা বলা হবে না।’ ফেসবুক লাইভে গ্রাম জীবনে বেড়ে ওঠা আরও অনেক অভিজ্ঞতার কথাও ইলিয়াস কাঞ্চন ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন। জীবনে অনেকবারই মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরম করুণাময় আল্লাহর কৃপায় বেঁচে গেছেন এমন রোমাঞ্চকর ঘটনাও ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন গুণী এ শিল্পী।এসএফ
অর্থ-বাণিজ্য
সব দেখুন
পোশাক শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫
ঢাকার সাভারের তৈরি পোশাক খাতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠায় আশুলিয়া থানা পুলিশ। এর আগে, শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ধামরাইয়ের লাবু খানের ছেলে হাবিব খান (৩১), আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকার মৃত-দুর্জন মোল্লার ছেলে আলকাছ মোল্লা (৩৬), একই এলাকার মৃত-মহিবুর রহমান ওরফে মহিউদ্দিনের ছেলে আজাহারুল ইসলাম (৪২), টঙ্গাবাড়ী এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে মজিদুল ইসলাম (২৮), এবং পবনারটেক এলাকার মৃত-সোনা মিয়া তালুকদারের ছেলে রাসেল তালুকদার (৩৫)।পুলিশ জানায়, গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে একটি চক্র বিভিন্নভাবে শ্রমিকদের উস্কানি দেয়। তারা আন্দোলনরত শ্রমিকদের দিয়ে বিভিন্ন গার্মেন্টস ভাঙচুর করে ও রাস্তা অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুরসহ বিভিন্ন স্থাপনার ক্ষতি সাধন করে। এসব উস্কানিদাতা এবং নেতৃত্ব প্রদানকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য আশুলিয়া থানা পুলিশসহ যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানে আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলেও জানায় পুলিশ।এসব তথ্য নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক।এবি
স্বর্ণের দামে বিশ্ব রেকর্ড, বাড়তে পারে দেশেও
বিশ্ববাজারে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাজারে প্রথমবারের মতো এক আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬০০ ডলার ছাড়িয়েছে। সেই হিসেবে দেশের বাজারেও যেকোনো সময় দামি এই ধাতুটির দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে।জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ২ হাজার ৫৭৮ দশমিক ৪৮ ডলার। সেখান থেকে বেড়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ২ হাজার ৬২১ দশমিক ৫৯ ডলারে থিতু হয় সপ্তাহ শেষে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৪৩ দশমিক ১১ ডলার বা ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এর মধ্যে সপ্তাহে শেষ কার্যদিবসেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৩৮ ডলার বা ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।এর আগে গত সপ্তাহে এক আউন্স স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫৮৪ ডলারে উঠেছিল। বিশ্ববাজারে এই দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারেও সে সময় স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়।বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকে। সংগঠনটির সবশেষ দেওয়া দাম অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ২৯ হাজার ৯০২ টাকা। এটিই দেশের বাজারে এখনো পর্যন্ত স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৬ হাজার ২৮২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৮৭ হাজার ১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।সংগঠনটির পক্ষে স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি। এই কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় ১০০ ডলার বেড়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে স্বর্ণের আউন্স ২ হাজার ৬০০ ডলার হয়ে যেতে পারে। বিশ্ববাজারে যে হারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে, তাতে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো লাগবে। এর কোনো বিকল্প নেই।তিনি বলেন, ‘আমার স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের ওপর ভিত্তি করে। স্থানীয় বাজারে পাকা স্বর্ণের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আবার পাকা স্বর্ণের দাম কমলে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববাজারের দামের চিত্র পাকা স্বর্ণের দামে প্রভাব ফেলে।’এসএফ
সবজির বাজার চড়া, রফতানি বন্ধ থাকলেও কমছে না ইলিশের দাম
রাজধানীর সবজি বাজার বেশ চড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজিতে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। দুয়েকটি বাদে কোনোটির দাম ৭০ টাকার কেজির নিচে নেই।বেগুনের কেজি আবারও শতকের ঘরের কাছাকাছি। কাঁচামরিচের দরও চড়া। দুইদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। বেগুন, করলার জন্য গুনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। শসার দাম উঠেছে শতকের ঘরে। আর টমেটোর স্বাদ নিতে হলে প্রতি কেজির জন্য গুনতে হবে ১৬০ টাকা। এদিকে, চড়া দামের সবজি কিনতে নাকাল ক্রেতারা।মাছের আড়তেও নেই স্বস্তি। ৪শ’ টাকা কেজির নিচে নেই চাষের রুই-কাতল। আর নদ-নদী, খাল-বিলের দেশি মাছ খেতে চাইলে দিতে হবে ৮শ’ থেকে হাজার টাকার বেশি।রফতানি বন্ধ থাকার সুফল পাচ্ছেন না ইলিশের ক্রেতারা। দাম হাকানো হচ্ছে আকাশ ছোয়া। এক কেজি ওজনের ইলিশ মিলছে ১৭শ’ থেকে ১৯শ’ টাকায়। ৭-৮শ’ গ্রামের ইলিশের জন্য গুনতে হবে ১২শ’ টাকা।এদিকে, যোগান স্বাভাবিক থাকলেও দাম বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের ডালের দাম। মশুর, মুগ ও বুটের ডাল প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত।কেজিতে ৫ টাকা কমে কেজিপ্রতি আলু বিক্রি হচ্ছে এখন ৫৫ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজের দাম হাকা হচ্ছে ১১৫ টাকা।এসএফ
সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না ডিম-মুরগি
সপ্তাহ ব্যবধানে ফের অস্থির হয়ে ওঠেছে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার। বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। সম্প্রতি সরকারিভাবে ডিম ও মুরগির যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তার চেয়েও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য।শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়নি।রাজধানীর কারওয়ান বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির সর্বোচ্চ ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়।এদিকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের সর্বোচ্চ দাম ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা হওয়ার কথা হলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ডজন প্রতি ১৫৫ টাকায়।এ ছাড়া দাম বেড়ে গেছে মাছ, মাংস ও শাক-সবজিসহ প্রায় প্রতিটি পণ্যের। এতে বিপাকে ভোক্তারা। তাদের মতে, শুধু সরকার পরিবর্তন হলেই চলবে না, অতিমুনাফা করার মানসিকতাও পরিবর্তন করতে হবে ব্যবসায়ীদের।ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ফসল, মাছ ও মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বাজারে কমে গেছে পণ্যের সরবরাহ। তাছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী।ক্রেতাদের অভিমত, সরকার বদলালেও বাজারের চিত্র বদলায়নি; অসাধুরা এখনও লুটে নিচ্ছে টাকা। আমিনুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর কয়েকদিন দাম কিছুটা কমেছিল। কিন্তু বর্তমানে আবারও সেই একই চিত্র। সরকার বদলালেও বদলায়নি বাজারের চিত্র। এখনও বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে ভোক্তাদের পকেট কাটছেন ব্যবসায়ীরা।জানা গেছে, উৎপাদনকারী থেকে খুচরা ব্যবসায়ী কেউই মানছেন না বেঁধে দেওয়া দাম। বরং আমিষ জাতীয় খাদ্যপণ্য দুটি আগের চেয়ে বাড়তি দমে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।এদিকে, দর বাড়ার ব্যাপারে খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে একপক্ষ দোষ চাপাচ্ছেন আরেক পক্ষের ওপর। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দর নির্ধারণের আগে সরকার কোনো পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেনি। উৎপাদন না বাড়িয়ে দর নির্ধারণ করলে তা বাস্তবায়ন হবে না।আর খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে, যে কারণে বেঁধে দেওয়া দামের মধ্যে তারা বিক্রি করতে পারছেন না।এসএফ
রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল
রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত আলাদা ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।অপসারণ করা ব্যাংক এমডিরা হলেন সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিম, জনতা ব্যাংকের এমডি মো. আবদুল জব্বার, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. মুরশেদুল কবীর, রূপালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বেসিক ব্যাংকের এমডি মো. আনিসুর রহমান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) এমডি মো. হাবিবুর রহমান গাজী।ছয়টি ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে এমডির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে, নতুন করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।এসএফ
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন পরিচালক ফাহমিদা খাতুন
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা আকতার খাতুন।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে তার নিয়োগের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব আফছানা বিলকিস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ ১৯৭২ এর আর্টিকেল ৯(৩)(সি) অনুসারে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা আকতার খাতুনকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে তার যোগদানের তারিখ থেকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করা হলো।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে পড়েছেন ফাহমিদা খাতুন। প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে অর্থনীতি বিষয়ে গবেষণা করার জন্য যোগ দেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে (বিআইডিএস)।পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল) থেকে ডিশটিংশন বিষয়ে মাস্টার্স করেন। সেখান থেকেই পিএইচডি এবং যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্টডক্টরাল সম্পন্ন করেন। বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্থনীতিবিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ড. ফাহমিদা খাতুন।২০১৭ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগে (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক হিসেবে। তিনি ২০০৮-১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক জনতা ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।এছাড়া ড. ফাহমিদা খাতুন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন কমিটির (আঙ্কটাড) প্রডাক্টিভ ক্যাপাসিটি-বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের গভর্নিং বডির সদস্য।ফাহমিদা খাতুন ইউএনডিপিতে পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও ইউএসএআইডিতে অর্থনীতিবিদ হিসেবে কাজ করেছেন। ভিজিটিং ফেলো ছিলেন নরওয়ের ক্রিশ্চিয়ান মিকেলসেন ইনস্টিটিউট, ভারতের সেন্টার ফর স্টাডি অব সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড পলিসিতে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিকস অ্যান্ড ট্রেডে।তিনি বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য গঠিত অর্থনীতিবিদদের প্যানেলের সদস্য ছিলেন। ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ সময়কালে তিনি জি-টোয়েন্টির অধীনে টি-টোয়েন্টির এসডিজি ত্বরান্বিত করা বিষয়ক টাস্কফোর্সের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ‘যখন প্রথম ধরেছে কলি’ নামে ফাহমিদা খাতুনের একটি সংগীত অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।এসএফ
দেশে সোনার দামে ফের রেকর্ড
দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ১৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ৩৩ হাজার ৫১ টাকা। যা এতদিন ছিল এক লাখ ২৯ হাজার ৯০২ টাকা। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল (রোববার-২২ সেপ্টেম্বর) থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে।ভরিতে ৩৫৮১ টাকা বেড়ে সোনার দামে রেকর্ডএর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সোনার দাম ভরিতে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫৮১ টাকা বাড়ানো হয়।বিস্তারিত আসছে...
পোশাক শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫
ঢাকার সাভারের তৈরি পোশাক খাতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠায় আশুলিয়া থানা পুলিশ। এর আগে, শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ধামরাইয়ের লাবু খানের ছেলে হাবিব খান (৩১), আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকার মৃত-দুর্জন মোল্লার ছেলে আলকাছ মোল্লা (৩৬), একই এলাকার মৃত-মহিবুর রহমান ওরফে মহিউদ্দিনের ছেলে আজাহারুল ইসলাম (৪২), টঙ্গাবাড়ী এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে মজিদুল ইসলাম (২৮), এবং পবনারটেক এলাকার মৃত-সোনা মিয়া তালুকদারের ছেলে রাসেল তালুকদার (৩৫)।পুলিশ জানায়, গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে একটি চক্র বিভিন্নভাবে শ্রমিকদের উস্কানি দেয়। তারা আন্দোলনরত শ্রমিকদের দিয়ে বিভিন্ন গার্মেন্টস ভাঙচুর করে ও রাস্তা অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুরসহ বিভিন্ন স্থাপনার ক্ষতি সাধন করে। এসব উস্কানিদাতা এবং নেতৃত্ব প্রদানকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য আশুলিয়া থানা পুলিশসহ যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানে আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলেও জানায় পুলিশ।এসব তথ্য নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক।এবি
স্বর্ণের দামে বিশ্ব রেকর্ড, বাড়তে পারে দেশেও
বিশ্ববাজারে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাজারে প্রথমবারের মতো এক আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬০০ ডলার ছাড়িয়েছে। সেই হিসেবে দেশের বাজারেও যেকোনো সময় দামি এই ধাতুটির দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে।জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ২ হাজার ৫৭৮ দশমিক ৪৮ ডলার। সেখান থেকে বেড়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ২ হাজার ৬২১ দশমিক ৫৯ ডলারে থিতু হয় সপ্তাহ শেষে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৪৩ দশমিক ১১ ডলার বা ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এর মধ্যে সপ্তাহে শেষ কার্যদিবসেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৩৮ ডলার বা ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।এর আগে গত সপ্তাহে এক আউন্স স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫৮৪ ডলারে উঠেছিল। বিশ্ববাজারে এই দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারেও সে সময় স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়।বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকে। সংগঠনটির সবশেষ দেওয়া দাম অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ২৯ হাজার ৯০২ টাকা। এটিই দেশের বাজারে এখনো পর্যন্ত স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৬ হাজার ২৮২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৮৭ হাজার ১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।সংগঠনটির পক্ষে স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি। এই কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় ১০০ ডলার বেড়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে স্বর্ণের আউন্স ২ হাজার ৬০০ ডলার হয়ে যেতে পারে। বিশ্ববাজারে যে হারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে, তাতে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো লাগবে। এর কোনো বিকল্প নেই।তিনি বলেন, ‘আমার স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের ওপর ভিত্তি করে। স্থানীয় বাজারে পাকা স্বর্ণের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আবার পাকা স্বর্ণের দাম কমলে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববাজারের দামের চিত্র পাকা স্বর্ণের দামে প্রভাব ফেলে।’এসএফ
সবজির বাজার চড়া, রফতানি বন্ধ থাকলেও কমছে না ইলিশের দাম
রাজধানীর সবজি বাজার বেশ চড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজিতে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। দুয়েকটি বাদে কোনোটির দাম ৭০ টাকার কেজির নিচে নেই।বেগুনের কেজি আবারও শতকের ঘরের কাছাকাছি। কাঁচামরিচের দরও চড়া। দুইদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। বেগুন, করলার জন্য গুনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। শসার দাম উঠেছে শতকের ঘরে। আর টমেটোর স্বাদ নিতে হলে প্রতি কেজির জন্য গুনতে হবে ১৬০ টাকা। এদিকে, চড়া দামের সবজি কিনতে নাকাল ক্রেতারা।মাছের আড়তেও নেই স্বস্তি। ৪শ’ টাকা কেজির নিচে নেই চাষের রুই-কাতল। আর নদ-নদী, খাল-বিলের দেশি মাছ খেতে চাইলে দিতে হবে ৮শ’ থেকে হাজার টাকার বেশি।রফতানি বন্ধ থাকার সুফল পাচ্ছেন না ইলিশের ক্রেতারা। দাম হাকানো হচ্ছে আকাশ ছোয়া। এক কেজি ওজনের ইলিশ মিলছে ১৭শ’ থেকে ১৯শ’ টাকায়। ৭-৮শ’ গ্রামের ইলিশের জন্য গুনতে হবে ১২শ’ টাকা।এদিকে, যোগান স্বাভাবিক থাকলেও দাম বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের ডালের দাম। মশুর, মুগ ও বুটের ডাল প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত।কেজিতে ৫ টাকা কমে কেজিপ্রতি আলু বিক্রি হচ্ছে এখন ৫৫ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজের দাম হাকা হচ্ছে ১১৫ টাকা।এসএফ
সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না ডিম-মুরগি
সপ্তাহ ব্যবধানে ফের অস্থির হয়ে ওঠেছে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার। বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। সম্প্রতি সরকারিভাবে ডিম ও মুরগির যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তার চেয়েও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য।শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়নি।রাজধানীর কারওয়ান বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির সর্বোচ্চ ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়।এদিকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের সর্বোচ্চ দাম ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা হওয়ার কথা হলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ডজন প্রতি ১৫৫ টাকায়।এ ছাড়া দাম বেড়ে গেছে মাছ, মাংস ও শাক-সবজিসহ প্রায় প্রতিটি পণ্যের। এতে বিপাকে ভোক্তারা। তাদের মতে, শুধু সরকার পরিবর্তন হলেই চলবে না, অতিমুনাফা করার মানসিকতাও পরিবর্তন করতে হবে ব্যবসায়ীদের।ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ফসল, মাছ ও মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বাজারে কমে গেছে পণ্যের সরবরাহ। তাছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী।ক্রেতাদের অভিমত, সরকার বদলালেও বাজারের চিত্র বদলায়নি; অসাধুরা এখনও লুটে নিচ্ছে টাকা। আমিনুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর কয়েকদিন দাম কিছুটা কমেছিল। কিন্তু বর্তমানে আবারও সেই একই চিত্র। সরকার বদলালেও বদলায়নি বাজারের চিত্র। এখনও বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে ভোক্তাদের পকেট কাটছেন ব্যবসায়ীরা।জানা গেছে, উৎপাদনকারী থেকে খুচরা ব্যবসায়ী কেউই মানছেন না বেঁধে দেওয়া দাম। বরং আমিষ জাতীয় খাদ্যপণ্য দুটি আগের চেয়ে বাড়তি দমে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।এদিকে, দর বাড়ার ব্যাপারে খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে একপক্ষ দোষ চাপাচ্ছেন আরেক পক্ষের ওপর। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দর নির্ধারণের আগে সরকার কোনো পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেনি। উৎপাদন না বাড়িয়ে দর নির্ধারণ করলে তা বাস্তবায়ন হবে না।আর খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে, যে কারণে বেঁধে দেওয়া দামের মধ্যে তারা বিক্রি করতে পারছেন না।এসএফ
রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল
রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত আলাদা ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।অপসারণ করা ব্যাংক এমডিরা হলেন সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিম, জনতা ব্যাংকের এমডি মো. আবদুল জব্বার, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. মুরশেদুল কবীর, রূপালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বেসিক ব্যাংকের এমডি মো. আনিসুর রহমান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) এমডি মো. হাবিবুর রহমান গাজী।ছয়টি ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে এমডির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে, নতুন করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।এসএফ
শিক্ষাঙ্গন
সব দেখুন
বেরোবিতে সকালে উপাচার্য আসলেও আসেননি কর্মকর্তারা
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকত আলী আজ রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় প্রশাসনিক ভবনের অফিস পরিদর্শন করেও অধিকাংশ কর্মকর্তাদের অফিসে পাননি। জানা গেছে, উপাচার্য সকাল ৯টায় নিজ অফিসে আসেন। এরপর প্রশাসনিক ভবনে বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শন করতে যান। কিন্তু এসময় তিনি অধিকাংশ কর্মকর্তাদের অফিসে পাননি। অনেকে আবার উপাচার্য অফিস এসেছেন শুনে তড়িঘড়ি করে অফিসে আসেন। পরে উপাচার্য তাদের অফিসে ডেকে সর্তক করেন।উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকত আলী বলেন, আমি সকাল ৯টায় অফিসে আসতে পারলে তারা কেনো আসতে পারবে না। অনেকে আবার ডরমেটরি থাকে। অথচ এতো কাছে থেকে তারা আসতে পারেন না। সার্বিকভাবে সবাইকে সর্তক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও কর্মকর্তাদের অফিসে ইচ্ছে মত আসা যাওয়া নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এইচএ
সাত কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি শিক্ষার্থীদের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি জানিয়েছে। আজ রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা কলেজের অডিটোরিয়ামে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি জানানো হয়। সাত কলেজের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার পক্ষ থেকে শিক্ষাবিদদের নিয়ে সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন করার দাবি জানানো হয়। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো উত্থাপন করে ঢাকা কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান। দাবিগুলো হচ্ছে:১) স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়হীনতা ২) ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক গুনগত মানের শিক্ষকের অপ্রতুলতা৩) ঢাবি শিক্ষার্থীদের গবেষণার সুযোগ থাকলেও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সেই ধরনের কোন সুযোগ নেই ৪) সাত কলেজের একাডেমিক কোন ক্যালেন্ডার নেই ৫) শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক সংকট ৬) তীব্র ক্লাসরুম সংকট ৭) ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব করা।৮) একাডেমিক সিলেবাস শেষ না করা।৯) পরিক্ষার ফলাফল মূল্যায়ণে গণহারে ফেল করিয়ে দেওয়া। ১০) ঢাবি কর্তৃপক্ষ সাত কলেজ থেকে প্রতি বছর শত কোটি টাকা আয় করলেও সাত কলেজের জন্য কোন বরাদ্দ দেওয়া হয় না। ১১) বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবগুলোতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেই। ১২) হুটহাট পরিক্ষা। ১৩) সান্ধ্য আইনের ফলে শিক্ষার্থীদের আলাদা করে কোন সহশিক্ষা কার্যক্রম করতে পারে না। ১৪) সার্টিফিকেটে Affiliated শব্দ ভিন্ন ফ্রন্টে লেখা থাকায় চাকরি বা বিদেশে উচ্চশিক্ষায় বাধাগ্রস্ত হওয়া।১৫) সেমিস্টার সিস্টেম না হওয়ায় ফলাফল বিপর্যয়।১৬) ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানোর দাবি।১৭) মানোন্নয়ন ফি ঢাবির প্রায় চারগুন বেশি নেওয়া। ১৮) ঢাবি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। ১৯) সাবজেক্ট চয়েসে মাইগ্রেশন সিস্টেম না থাকা। ২০) সমাবর্তনে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ না থাকাসহ আরও বিভিন্ন বিষয়। উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাত কলেজ ( ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বদরুন্নেসা সরকারি কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি কবি নজরুল কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ) শিক্ষার মান উন্নত করার লক্ষ্যে তৎকালীন সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করে। এইচএ
সাড়ে তিন মাস পর ঢাবির ক্লাস শুরু হচ্ছে আজ
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) শুরু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস। এরইমধ্যে প্রতিটি বিভাগে ক্লাস রুটিনসহ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ বর্ষ বাদে সব বর্ষের ক্লাস শুরু হচ্ছে। ওই শিক্ষাবর্ষের ক্লাস ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি মিলিয়ে গত ২ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস। তবে এ সময়ে বিভিন্ন বিভাগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ জুলাই থেকে ক্লাস চালুর কথা থাকলেও প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে পড়ে। সব মিলিয়ে সাড়ে তিন মাস (১১২ দিন) বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে ৭ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন। এর মধ্যে কোটা আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর হল ও অফিস কার্যক্রম শুরু হলেও ক্লাস শুরু করা যায়নি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল পদত্যাগ করেন। ২৭ আগস্ট নতুন উপাচার্য হন অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। ১৩ সেপ্টেম্বর জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ক্লাস শুরুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।এমআর
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
বন্যাদুর্গত অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় আড়াই শত কৃষকের মাঝে ধানের চারা, সার, কীটনাশক ও ঘাসের কাটিং বিতরণ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত 'এগ্রি স্টুডেন্ট'স অ্যালায়েন্স বিডি'।শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরহাসানে ২০০ কৃষকের মাঝে কৃষি উপকরণ (ধানের চারা ও সার) হস্তান্তর অনুষ্ঠান ও বন্যার্ত পুনর্বাসন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।একই সাথে কুমিল্লার দেবিদারে প্রায় ৫০ কৃষকের মাঝে কৃষি উপকরণ (ধানের চারা, সার, কীটনাশক ও ঘাসের কাটিং) বিতরণ করা হয়।'বাঁচলে কৃষক, বাঁচবে দেশ উন্নয়নে বাংলাদেশ'- স্লোগানে কর্মসূচির সার্বিক ব্যবস্থাপনা করে 'কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটি' এবং 'এগ্রি স্টুডেন্ট'স অ্যালায়েন্স বিডি'।নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় কৃষি উপকরণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক শরীফ-আর-রাফি, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আতিকুর রহমান, ইমরান খান চৌধুরী, ঢাকা ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও কৃষি ব্যাংকিং ইউনিটের প্রধান মো. কাতেবুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন 'কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটি'- এর সভাপতি মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম, বায়ার ক্রপ সায়েন্স লিমিটেড- এর মো. ইমরান, সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ, এগ্রি স্টুডেন্স'স অ্যালায়েন্স বিডি - এর সদস্যবৃন্দ এবং সুবর্ণচর উপজেলার হাসানচরের কৃষকেরা।এ সময় ঢাকা ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. কাতেবুর রহমান বলেন, বন্যা পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসনের মধ্য এই কর্মসূচি অন্যতম। আমরা সার ও কীটনাশক কৃষকদের মাঝে বিতরণ করেছি। আমরা গত ৩ বছরে দেশের ৪২ টি জেলায় কাজ করেছি। এসব জেলায় প্রায় ৩২ হাজার কৃষককে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছি। সার, বীজ, কীটনাশক, বিভিন্ন মেশিনারি, ট্রাক্টর, সোলার পাম্প বিনামূল্য কৃষকদের মাঝে বিতরণ করেছি।কৃষি উপকরণ পাওয়া কৃষক আবুল কালাম বলেন, আমি ৩ একর জমিতে ধানের চারা লাগিয়েছিলাম । বন্যার পানিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাকৃবির শিক্ষার্থীরা আমাদের মাঝে যে ধানের চারা বিতরণ করেছে আমি খুবই খুশি। তারা আমাদের মতো কৃষকদের কথা চিন্তা করায় আমরা আনন্দিত হয়েছি। আশা করি এই ধানের চারা আমাদের কিছুটা হলেও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো হারুন অর রশিদ বলেন, কৃষকদের প্রায় ২০-৩৩ শতক জায়গায় ধান চাষাবাদের জন্য উপকরণ দিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি প্রত্যেক কৃষক এই চারাগুলো মাঠে নিয়ে যাবে এবং এই চারাগুলো থেকে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবে। যারা এসব উদ্যেগে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা বেছে নিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানায়। নোয়াখালীর এই জায়গাটি বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই চারা বিতরণের মাধ্যমে কৃষকরা সাময়িক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।এমআর
তথ্য-প্রযুক্তি
সব দেখুন
স্মার্টফোনে ব্যাক কভার লাগানো ভাল না ক্ষতিকর?
স্মার্টফোনকে ধুলা-ময়লার হাত থেকে রক্ষা ও আঘাতজনিত সমস্যা থেকে নিরাপদ রাখতে অনেকেই ব্যাক কভার ব্যবহার করে থাকেন। অনেকেই আবার ফোনকে সুন্দর দেখাতে পছন্দমতো ডিজাইন করিয়ে ব্যাক কভার ব্যবহার করেন। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, ব্যাক কভার ব্যবহারে এসব সুবিধার বাইরে অনেক অসুবিধাও রয়েছে। ব্যাক কভার ব্যবহারের আগে জেনে নিন সে সব অসুবিধার কথা।ফোন গরম হয়ে যায়: ধাতব বা প্লাস্টিকের ব্যাক কভার লাগালে ফোন গরম হয়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে ব্যাটারিতে। চার্জ উঠতে সময় লাগে। তাছাড়া বারবার গরম হয়ে গেলে ফোন খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। কমে যায় আয়ুও।ডিজাইন এবং ফিনিশ: প্রত্যেক মডেলের নিজস্ব ডিজাইন রয়েছে। সেটাই ফোনকে অন্যের থেকে আলাদা করে তোলে। ব্যাক কভার লাগালে ডিজাইন চাপা পড়ে যায়। এতে ফোনের লুক নষ্ট হতে পারে।ওজন বৃদ্ধি: কিছু কিছু ব্যাক কভার মোটা এবং বেশ ভারি হয়। ফলে ফোনের ওজনও এক ধাক্কায় বেড়ে যায় অনেকটা। ফোন ব্যবহার করাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।ক্যামেরার গুণমান: অনেক সময় ব্যাক কভারের কারণে ক্যামেরার লেন্স ঢাকা পড়ে যায়। এর ফলে ফটো বা ভিডিওর গুণমানে প্রভাব পড়ে।সিগন্যালের সমস্যা: ধাতব ব্যাক কভারের কারণে নেটওয়ার্কের সমস্যা খুব সাধারণ ব্যাপার। যেখানে সিগন্যাল এমনিতেই কম, সেখানে সমস্যা আরও বেড়ে যায়।সব ব্যাক কভারই কি খারাপ: এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, সব ব্যাক কভারই কী খারাপ? না, তা নয়। বাজারে হালকা এবং পাতলা ব্যাক কভারও পাওয়া যায়। এগুলো ফোনে লাগালে কোনও ক্ষতি হয় না। বরং ফোনকে সুরক্ষা যোগায়। মাথায় রাখতে হবে, ভাল মানের ব্যাক কভার ফোনে কোনও খারাপ প্রভাব ফেলে না। দেখতেও সুন্দর লাগে।ব্যাক কভার লাগানো কি উচিত: যদি কেউ ফোনকে ধুলা, ময়লা এবং স্ক্র্যাচ থেকে রক্ষা করতে চায়, তা হলে হালকা ও পাতলা ব্যাক কভার বেছে নিতে পারেন। এতে কোনও ক্ষতি হবে না। তবে যদি কেউ ফোনের ডিজাইনকে অক্ষত রাখতে চান, তা হলে ব্যাক কভার ছাড়াই ফোন ব্যবহার করা উচিত।এসএফ
২০ সেপ্টেম্বর বন্ধ হচ্ছে কোটি কোটি জিমেইল
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইমেল পরিষেবার মাধ্যমে জিমেইল। জিমেইল একটি বিনামূল্যে ওয়েবমেইল, যার সার্ভিস দেয় গুগল। জিমেইল এ POP3 এবং IMAP সুবিধা রয়েছে। বর্তমানে আমাদের জীবনে এটি খুবই গুরুত্ব বহন করে। কেননা এটির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট, ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করা হয় ই-মেইলের মাধ্যমে। এছাড়া গুগল ড্রাইভ ও গুগল ফটোসের ব্যবহার তো আছেই।তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে নিষ্ক্রিয় জিমেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল। সার্ভারের ওপর চাপ কমাতে নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল। যদি দীর্ঘদিন ধরে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার না করেন তাহলে সমস্যায় পড়তে পারেন।ইনঅ্যাক্টিভ জিমেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধ হচ্ছেগুগল জানিয়েছে, যেসব জিমেইল অ্যাকাউন্ট ২ বছরের বেশি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে আছে সেই সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হবে। এখনকার দিনে অনেকেই একাধিক জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন কিন্তু সেগুলো আর ব্যবহার করেন না। আর তাই সার্ভার স্টোরেজ কমাতে গুগল নিষ্ক্রিয় জিমেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।অ্যাকাউন্ট বন্ধ নিয়ে পলিসি পেজে যা জানিয়েছে গুগলদুই বা তার বেশি বছর ধরে ব্যবহার না হওয়া অ্যাকাউন্টগুলোকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের অ্যাকাউন্টকে গুগল থেকে নোটিফিকেশন পাঠানো হচ্ছে এবং তাদের অ্যাকাউন্টগুলো সক্রিয় রাখার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এরপরও যদি অনেক অ্যাকাউন্ট অব্যবহৃত অবস্থায় থাকে, তাহলে গুগল উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে যা করবেনআপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে অন্তত একবার লগ ইন করুন, ই-মেইল পাঠান, গুগল সার্ভিস ব্যবহার করুন, ইউটিউবে ভিডিও দেখুন, গুগল সার্চ করুন।এবি
মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ইন্টারনেটের দাম কমানোর পাশাপাশি সকল মোবাইল অপারেটরদের মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিসকক্ষে বাংলালিংক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।নাহিদ ইসলাম বলেন, তরুণ প্রজন্মের চাহিদার প্রেক্ষিতে ইন্টারনেটের দাম কমাতে হবে। পাশাপাশি মোবাইল অপারেটরদের মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর চেষ্টা করতে হবে।জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এসময় মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর জন্য বাংলালিংক প্রতিনিধিদের প্রতিও আহ্বান জানান উপদেষ্টা।এসময় বাংলালিংকের চিফ লিগ্যাল অফিসার জাহারাত আদিব চৌধুরী জনপ্রিয় এপ্লিকেশন টফির ব্যবহারে বিভিন্ন বাধার কথা উল্লেখ করলে উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।এসএফ
জাগুয়ারের কারখানা পাহারা দিচ্ছে ‘রোভার’ নামের রোবট কুকুর
যুক্তরাজ্যের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার’ (জেএলআর)-এর কারখানা পাহারা দিচ্ছে একটি ’রোবট কুকুর’। মূলত, কভেন্ট্রি ইলেকট্রিক কার ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটিতে স্টাফদের সাথে যোগ করা হয়েছে নতুন এই সদস্য। এক প্রতিবেদনে দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, চার পা বিশিষ্ট রোবোটিক কুকুরটির নাম দেয়া হয়েছে ‘রোভার’। ব্র্যান্ডের বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) তৈরি এবং পরীক্ষা করার ফ্যাসিলিটিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে কুকুরটিকে।বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) তৈরির সময় অপারেশনাল সমস্যাগুলোকে গুরুত্বের সাথে চিহ্নিত করার জন্য ‘গার্ড ডগ’ হিসাবে ডিজাইন করা হয়েছে এটিকে।রোবট কুকুরটি ‘বোস্টন ডাইনামিক্স’ তৈরি করেছে। রোভারের প্ল্যান্টে এটির নিজস্ব ক্যানেল রয়েছে, যেখানে এটি শিফটের মধ্যে ৫০ ভোল্টের ব্যাটারি টপ আপ করার জন্য নিজের ফিরে আসতে পারে।সাধারণ হাউন্ড কুকুরের স্বভাবের বিপরীত এই ‘রোভার’। কারণ- যেকোনো ধরনের উচ্চ শব্দ, অস্বাভাবিক দৃশ্য বা গন্ধ দ্বারা বিভ্রান্ত হয় না এই কুকুর। অটোমেশন ও জেএলআর-এর রোবোটিক্স বিভাগের কর্মকর্তা গঞ্জালো ইজার্ক রিনালডিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রকৌশলীদের নিরাপদে এবং বুদ্ধির সাথে কাজে সাহায্য করতে সক্ষম এই কুকুর।এসএফ
জি-মেইলের স্টোরেজ যেভাবে বাড়াবেন
তথ্য-প্রযুক্তির যুগে বর্তমানে বার্তা আদান-প্রদানের অন্যতম বাহনের নাম ই-মেইল। আর সেই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জিমেইল।আপনি যদি রেগুলার জিমেইল ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন এবং আপনার মেসেজ ডিলিট করার অভ্যাস না থাকে তাহলে এক সময় আপনার স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে যাবে। কেননা আপনার জিমেইলের ইনবক্স অবশ্যই ইনফিনিটি স্টোরেজ সমৃদ্ধ না।তবে এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আপনি চাইলে জিমেইলের এই জায়গাকে আরো একটু বাড়িয়ে নিতে পারেন।আপনি যখন এমন পরিস্থিতিতে পড়তে যাবেন তার কিছু দিন আগেই আপনাকে নোটিফিকেশন এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে যে আপনি খুব শীঘ্রই কোনো ই-মেইল পাঠানো কিংবা গ্রহণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবেন। সাথে সাথে আপনি কোনো ফাইল ও আপলোড করতে পারবেন না।জিমেইল স্টোরেজ খালি করার উপায়গুগল ড্রাইভে অনেকে ছবি, নথি রেখে দেন। সেখান থেকে ফাইল সাইজ দেখে দেখে ফাইল ডিলিট করে দিতে পারেন। অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডিলিট করে দিন। যে মেইলের অ্যাটাচমেন্ট আর প্রয়োজন নেই, সেটা ডিলিট করে দিন। কীভাবে?মেইল খুলে সার্চ বারে গিয়ে লিখুন, 'has:attachment larger:10M'- এটা লিখে সার্চ করলে ১০ এমবি-বেশি সাইজের যত অ্যাটাচমেন্ট রয়েছে তা দেখাবে, সেগুলো ধরে ডিলিট করে দিতে পারেন। এরপর ট্র্যাশ ফোল্ডার থেকেও ডিলিট করুন সব।স্প্যাম মেসেজেও সমস্যা। জিমেল অ্যাকাউন্টে স্প্যাম ফোল্ডারে অনেক মেসেজ আসে। ওই ফোল্ডারে গিয়ে মেলের তালিকার উপরে একটি বক্স রয়েছে, সেখানে টিক করে, সব মেসেজ একসঙ্গে ডিলিট করলেই অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যাবে স্টোরেজ।গুগল ফটোতে গিয়েও জায়গা বের করা যায় https://photos.google.com/settings- এখানে যান। সেখানে নিয়ে নিজের গুগল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন। এবার upload quality-তে Original এর বদলে High Quality অপশন বেছে নিন। এর পরে আগের আপলোড করা ছবিও হাই কোয়ালিটি ইমেজ হয়ে বেশ কিছুটা জায়গা বাঁচাবে।জিমেইলের স্টোরেজ বাড়াবেন যেভাবেজিমেইলে জমা হওয়া মেইলের অধিকাংশই বহু মাস বা বছর পুরোনো। ইমেইল জমে থাকার ফলে দ্রুত স্টোরেজ শেষ হয়ে যায়। প্রতি জিমেইল অ্যাকাউন্ট ১৫জিবি স্টোরেজ ফ্রি দিয়ে থাকে গুগল। ফলে স্টোরেজ শেষ হলে বিপত্তি বাধে। অপ্রয়োজনীয় ইমেইলের ভিড়ে প্রয়োজনীয় মেইল খুঁজে পাওয়া অবশ্য দুরূহ। কিছু বিষয় অনুসরণ করলে দ্রুতই সব পুরোনো ইমেইল চিহ্নিত করে ডিলিট সম্ভব। যা স্টোরেজ বাড়াতে সহায়তা করবে।কীভাবে খুঁজবেন পুরোনো ইমেইলপ্রথম জিমেইল ওপেন করে সার্চবারে গিয়ে ‘ওল্ডার দ্যান’ লিখে সার্চ করতে হবে। সার্চ অপশন আসলে সেখানে ক্লিক করে টাইম ফ্রেম নির্বাচন করার সুযোগ থাকবে। সার্চ বারে ফাইলের আকার নির্বাচন করা যাবে। সহজে বড় অ্যাটাচমেন্ট থাকা ফাইল বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকবে।ইমেইল ট্র্যাশডিলিট করতে চাওয়া ইমেইলের পাশে টিক মার্ক বক্সে থাকবে, সেখানে ক্লিক করতে হবে। স্ক্রিনে ট্র্যাশ আইকন আসবে। এটিতে ক্লিক করে নিতে হবে। বাম দিকে সাইডবারে ট্র্যাশ লেবেল থাকবে। সেখানে ‘এম্পটি ট্র্যাশ নাউ’ অপশনে ট্যাপ করতে হবে। ফলে চিহ্নিত সব ইমেইল স্থায়ীভাবে ডিলিট হয়ে যাবে। এভাবেই বাড়ানো যাবে স্টোরেজ।এইচএ
হোয়াটসঅ্যাপে মেটা এআই, মিলবে যেসব সুবিধা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে বিশ্বে জনপ্রিয় প্লাটফর্মের মধ্যে একটি হলো হোয়াটসঅ্যাপ। নিত্যনতুন উদ্ভাবনে যোগাযোগের অভূতপূর্ব উন্নতিতে বেশ এগিয়ে রয়েছে এই প্লাটফর্মটি।সম্প্রতি এই প্লাটফর্মে মেটা এআই যুক্ত হওয়ায় মিলবে ভয়েস মোড ফিচারের সুবিধা।প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেটা এআইয়ের ব্যবহারে এখন থেকে ব্যবহাকারীরা সরাসরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। মেটা এআই ব্যবহারের সময় নিজেদের পছন্দমতো কণ্ঠস্বরও বেছে নেয়া যাবে। এক্ষেত্রে তিনটি আলাদা ধরনের ব্রিটিশ ও দু’রকমের মার্কিন কণ্ঠস্বর থেকবে বেছে নেয়ার সুযোগ। এরপরে আরও চারটি কণ্ঠস্বর যোগ করা হতে পারে। যে কণ্ঠস্বরগুলো জনপ্রিয় ব্যক্তিদের। মেটা এআই ছাড়াও ওপেনএআইয়ের চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সুবিধা পেয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপ ইউজাররা। এসএফ
আইন-আদালত
সব দেখুন
রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে মন্ত্রণালয়ের ২ কমিটি
বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য নানা কারণে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করা হয়রানিমূলক মামলাসমূহ প্রত্যাহার করার জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে সরকার জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করেছে।রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক পরিপত্র মোতাবেক এ দুটি কমিটি গঠন করা হয়।জেলা পর্যায়ের কমিটিতে যারা থাকবেনজেলা পর্যায়ের কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার ও পাবলিক প্রসিকিউটরকে কমিটির সদস্য এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সদস্য সচিব হিসেবে কমিটিতে থাকবেন।জেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে(১) রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট-এর নিকট আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।(২) আবেদনের সাথে এজাহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিটের সার্টিফাইড কপি দাখিল করতে হবে।(৩) আবেদন প্রাপ্তির ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দরখাস্তটি জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (ক্ষেত্র বিশেষে মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটর) এর নিকট মতামতের জন্য প্রেরণ করবেন।(৪) আবেদন প্রাপ্তির ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর (ক্ষেত্র বিশেষে মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটর) তাঁর মতামত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর প্রেরণ করবেন।(৫) পাবলিক প্রসিকিউটর এর মতামত সংগ্রহপূর্বক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা কমিটির সভায় উপস্থাপন করবেন।(৬) জেলা কমিটির নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, মামলাটি রাজনৈতিক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য দায়ের করা হয়েছে, তাহলে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য কমিটি সরকারের নিকট সুপারিশ করবে।(৬) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত সুপারিশ, মামলার এজাহার, চার্জশিট-সহ আবেদন প্রাপ্তির ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্দিষ্ট "ছক" অনুযায়ী তথ্যাদি-সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে।মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটিতে যারা থাকবেনমন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। সদস্য হিসেবে কমিটিতে থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব (আইন) এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি। এছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব/সহকারী সচিব।মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে(১) জেলা কমিটির নিকট থেকে সুপারিশ প্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি সুপারিশগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং প্রত্যাহারযোগ্য মামলা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করবে ও মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রম গ্রহণ করবে।(২) দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর আওতাধীন মামলাসমূহের মধ্যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো দ্য ক্রিমিনাল ল একাডেমিক অ্যাক্ট, ১৯৫৮-এর ১০ (৪) ধারার বিধানমতে কমিশনের লিখিত আদেশ ব্যতীত প্রত্যাহার করা যায় না। এ কারণে এ ধরনের মামলা চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে হবে। এ ধরনের মামলার বিষয়ে করণীয় পরবর্তীতে নির্ধারণ করা হবে।এবি
প্রবাস
সব দেখুন
দক্ষিণ কোরিয়ায় সাগরে ডুবে নরসিংদীর দুই যুবকের মৃত্যু
দক্ষিণ কোরিয়ায় বুসান সমুদ্র সৈকতে সাগরে ডুবে মারা গেছেন নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার দুই যুবক। গতকাল সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কর্মস্থল বন্ধ থাকায় বন্ধুদের নিয়ে সমুদ্র নেমে পানিতে তলিয়ে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।জানা যায় নিহতরা হলেন-বেলাবো উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রামের মো. মুজিবুর রহমানের ছেলে সাকিবুর রহমান সঞ্জিব (২৩) ও টেকপাঁড়া গ্রামের মো. বাচ্চু মিয়ার ছেলে সৈকত হাসান শান্ত (২২)।স্বজনরা জানান, কর্মসংস্থানের জন্য সাকিবুর রহমান সঞ্জিব ২০২০ সালে ইপিএস এর আওতায় বৈধপথে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। আর ৪ মাস আগে বৈধপথে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান সৈকত হাসান শান্ত। এর মধ্যে কিছুদিন আগে সঞ্জিব বাড়ি থেকে ছুটি কাটিয়ে পুনরায় কর্মস্থল দক্ষিণ কোরিয়ায় যান। গতকাল সোমবার ছুটি থাকার সুবাধে অন্যান্য প্রবাসী বন্ধুদের নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরের সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নামেন সাকিবুর রহমান সঞ্জিব। এসময় সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। বিকেল ৩টায় দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্ধার কর্মীরা সঞ্জিবের লাশ উদ্ধার করেন। সঞ্জিবের লাশ উদ্ধার করার প্রায় ২ ঘণ্টা পর বিকাল ৫টায় একই স্থান হতে তীব্র ঢেউয়ের কারণে ভেসে যাওয়া সৈকত হাসান শান্ত (২২) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। এদিকে তাদের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন দুই পরিবারের সদস্যরা। নিহত শান্তর বাবা মো. বাচ্চু মিয়া কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘সোমবার রাতে আমরা জানতে পারি শান্ত আর বেঁচে নেই। মাত্র ৪ মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় যায় সে। কিন্ত সুখ হয়তো তার কপালে বেশিদিন ছিল না। আল্লাহ তাকে নিয়ে গেছেন। সরকার যেন দ্রুত আমার ছেলের লাশ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় এই অনুরোধ করছি।’ সাকিবুর রহমান সঞ্জিবের চাচা আতিকুর রহমান জীবন জানান, তারা সোমবার দুপুরে তারা জানতে পারেন সঞ্জিব বন্ধুদের সাথে সাগরে গোসল করতে নেমে স্রোতে সাথে তলিয়ে যায়। পরে সেখানের উদ্ধার কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করেন। সরকারের প্রতি দাবি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে সঞ্জিবের লাশ দেশে আনার জন্য সহযোগিতা করে। বেলাবো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল করিম বলেন, ‘দুই যুবক নিহত হওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি এবং নিউজেও দেখেছি। কিন্তু পরিবারের পক্ষ হতে কেউ অবহিত করেন নি। পরিবারের পক্ষ হতে সহযোগিতা চাইলে সরকারিভাবে মরদেহ আনার জন্য সহযোগিতা করা হবে।’ এসএফ
লাইফস্টাইল
সব দেখুন
প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক রসুন
খাবারের স্বাদ বাড়াতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। অন্যদিকে এতে পুষ্টি উপাদানও অনেক। তাই স্বাদের সঙ্গে সঙ্গে সুস্থতাও নিশ্চিত করে। প্রতিদিন এক কোয়া রসুন যদি কেউ নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে নানা রোগ থেকে মুক্তি মিলতে পারে।জেনে নিন রসুন খেলে কী কী উপকারিতা পেতে পারেন-ফ্রি র্যাডিক্যাল ধ্বংস করে:রসুনে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা রক্তে জমা হওয়া ফ্রি র্যাডিক্যাল ধ্বংস করে দেয়। ফ্রি র্যাডিক্যাল শরীরের পক্ষে মারাত্মক। ফ্রি র্যাডিক্যাল DNA ও কোষের মেমব্রেন নষ্ট করে দেয়। আর দূষিত রক্ত ডেকে আনে একরাশ রোগ।কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়:রসুন কোলেস্টেরল কমিয় দেয়। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, কোলেস্টেরলের মাত্রা ৯ থেকে ১২ শতাংশ কমিয়ে দেয় রসুন। রসুন ছত্রাকজনিত সংক্রমণ রুখে দেয়। কারণ রসুনে থাকা অ্যালিসিন ছত্রাকজনিত সংক্রমণের সম্ভাবনা একেবারেই কমিয়ে দেয়।গাঁটে ব্যথা বা আর্থ্রাইটিস থেকে স্থায়ী মুক্তি পাওয়া যায় রসুন খেলে।প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক রসুন:কোনো অসুখ হলে চিকিৎসকরা নানা অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরাই বলছেন, বাজার চলতি অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক। কারণ রাসায়নিক অ্যান্টিবায়োটিক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মারার পাশাপাশি উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোকেও মেরে ফেলে। সেখানে রসুন হচ্ছে অন্যতম প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক।শুধুই ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া নিকেশ করে। উপকারীগুলোর কোনো ক্ষতি করে না।এইচএ